কলকাতা, 29 অগস্ট: নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর উপর হামলার ঘটনায় মহেশতলা থেকে রিঙ্কু সিং নামে এক যুবতীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । আক্রান্ত সার্জেন্টের এক চোখের দৃষ্টিশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা ৷
ঘটনার দিন বাবুঘাটে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন ইস্ট ডিভিশনের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী । তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইডি) আরীশ বিলাল । গতকাল আরীশ বিলাল ইটিভি ভারতকে বলেন, তিনি এবং ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট সেদিন গাড়িতে ছিলেন । তখনই আচমকা গাড়ির সামনের কাচে বড় একটি ইট মারা হয় । ইটের ঘায়ে সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর বাঁ-চোখ থেকে রক্ত ঝরতে শুরু করে । ওই অবস্থাতেই তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বিক্ষোভকারীরা বেধড়ক মারধর করেন বলে জানান আরীশ বিলাল ।
এই ঘটনায় দোষীদের নাগাল পেতে নিজেদের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করে, তাঁদের সন্ধান চাই বলে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানায় কলকাতা পুলিশ । ঘটনার একদিন পর মহেশতলা থেকে রিঙ্কু সিং নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বাবুঘাটের কাছে রিঙ্কু সিং নামে ওই যুবতী উপস্থিত ছিলেন । এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন এখনও অধরা । তাঁদেরকেও গ্রেফতার করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ ।
নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে, সেই ঘটনায় 15 জনেরও বেশি পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন । পুলিশের উপর আক্রমণ, সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মিলিয়ে 77 জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পেরেছে লালবাজার । পাশাপাশি বর্তমানে পুলিশের নজরে রয়েছে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ । জানা গিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ চেয়ে যখন সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে, ঠিক সেই সময় বেশকিছু অসাধু লোক এলাকায় গন্ডগোল বাধানোর জন্য আরজি করের প্রতিবাদকে হাতিয়ার করছে ।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা সব দিক তদন্ত করছি । আমাদের নজরে বেশকিছু ফেসবুক পেজ রয়েছে । কেউ কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটাতে চাইলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে ।"