ETV Bharat / state

পাঁচ দশকের দাম্পত্য ! মৃত্যুতেও মিলে গেলেন শঙ্কর-নিয়তি - Till Death do us part - TILL DEATH DO US PART

Wife Dies just after Husband Death: হরিহর আত্মা ৷ পাঁচ দশকের দাম্পত্যে দু’জনকে চোখে হারাতেন শঙ্কর-নিয়তি ৷ স্বামীর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী ৷ দেহ আনতেই নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না, ঢলে পড়লেন বুকের উপর ৷ মৃত্যু মিলিয়ে দিল মুর্শিদাবাদের দম্পতিকে ৷

Wife Dies just after Husband Death
পাঁচ দশকের দাম্পত্যে ইতি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 24, 2024, 4:13 PM IST

Updated : Jul 24, 2024, 4:57 PM IST

ভরতপুর, 24 জুলাই: স্বামীর দেহ এনে রাখা হয়েছিল উঠোনে ৷ বাড়ি জুড়ে হাহাকারের মধ্যে ছুটে গিয়েছিলেন স্ত্রী ৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ৷ তারপরেই স্বামীর বুকের উপর এলিয়ে পড়লেন তিনি ৷ আত্মীয়, পড়শিদের ভেবেছিলেন শোকে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ শত ডাকাডাকি, জলের ঝাঁপটাতেও হুঁশ না-ফেরায় স্পষ্ট হয়, স্বামীর সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার ভোলতা গ্রামে ৷ স্বামী শঙ্কর মণ্ডলের (85) মৃত্যুর তিন মিনিটের মধ্যেই প্রয়াত হন স্ত্রী নিয়তি মণ্ডল (68)। গ্রামের লোক বলছেন, একেই বলে সাতজন্মের সাথী । একে অপরের পরিপূরক । তাই দু’হাত এক হওয়ার পর বিদায় নেওয়ার সময়েও দু’জনে একসঙ্গেই পরলোকে গেলেন ।

জানা গিয়েছে, মৃত দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়স পাঁচ দশক পেরিয়েছে ৷ তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে । প্রত্যেকেই বিবাহিত ৷ এখন তাঁদের ভরা সংসার । নাতি-নাতনিও রয়েছে । এই পরিবারের সঙ্গে গ্রামের সকলেরই সুসম্পর্ক রয়েছে ।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শঙ্কর । শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ছিল তাঁর । কয়েকদিন আগে তাঁকে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । হাসপাতাল থেকে ফেরার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি । প্রায় ছ’দিন পর সোমবার রাত সাড়ে আট’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় । স্বামীর দেহের উপর এলিয়ে পড়েন নিয়তি ৷ পরিজনেরা বলছেন, পাঁচ দশকের ভালোবাসার এই ‘নিয়তি’ই লিখেছিলেন ঈশ্বর ৷

মৃতের ছেলে অনন্ত বলেন, ‘‘জন্মের পর থেকে বাবা-মা’কে কোনদিন আলাদা থাকতে দেখিনি । সব কিছুতেই দু’জনের মতামত একই থাকত । যে কোনও খাবার দু’জনে ভাগ করে খেতেন । তাই মৃত্যুতেও আলাদা হতে পারলেন না ।’’

প্রতিবেশী সাধনা মণ্ডলের কথায়, দু’জনের মধ্যে এত মিল ছিল যে বলে বোঝানো যাবে না । একসঙ্গে থাকা-খাওয়া থেকে মাঠে যাওয়া । এমনকী গরু চড়াতে গেলেও একসঙ্গে যেতেন । মৃত্যুও তাই দু’জনকে মিলিয়ে দিল ৷ এদিন গ্রামের মানুষ দু’জনের দেহ পাশাপাশি রেখে শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । সাটুইগ্রামের শ্মশানে দু’জনকে পাশাপাশি রেখেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে ।

ভরতপুর, 24 জুলাই: স্বামীর দেহ এনে রাখা হয়েছিল উঠোনে ৷ বাড়ি জুড়ে হাহাকারের মধ্যে ছুটে গিয়েছিলেন স্ত্রী ৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ৷ তারপরেই স্বামীর বুকের উপর এলিয়ে পড়লেন তিনি ৷ আত্মীয়, পড়শিদের ভেবেছিলেন শোকে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ শত ডাকাডাকি, জলের ঝাঁপটাতেও হুঁশ না-ফেরায় স্পষ্ট হয়, স্বামীর সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার ভোলতা গ্রামে ৷ স্বামী শঙ্কর মণ্ডলের (85) মৃত্যুর তিন মিনিটের মধ্যেই প্রয়াত হন স্ত্রী নিয়তি মণ্ডল (68)। গ্রামের লোক বলছেন, একেই বলে সাতজন্মের সাথী । একে অপরের পরিপূরক । তাই দু’হাত এক হওয়ার পর বিদায় নেওয়ার সময়েও দু’জনে একসঙ্গেই পরলোকে গেলেন ।

জানা গিয়েছে, মৃত দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়স পাঁচ দশক পেরিয়েছে ৷ তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে । প্রত্যেকেই বিবাহিত ৷ এখন তাঁদের ভরা সংসার । নাতি-নাতনিও রয়েছে । এই পরিবারের সঙ্গে গ্রামের সকলেরই সুসম্পর্ক রয়েছে ।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শঙ্কর । শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ছিল তাঁর । কয়েকদিন আগে তাঁকে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । হাসপাতাল থেকে ফেরার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি । প্রায় ছ’দিন পর সোমবার রাত সাড়ে আট’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় । স্বামীর দেহের উপর এলিয়ে পড়েন নিয়তি ৷ পরিজনেরা বলছেন, পাঁচ দশকের ভালোবাসার এই ‘নিয়তি’ই লিখেছিলেন ঈশ্বর ৷

মৃতের ছেলে অনন্ত বলেন, ‘‘জন্মের পর থেকে বাবা-মা’কে কোনদিন আলাদা থাকতে দেখিনি । সব কিছুতেই দু’জনের মতামত একই থাকত । যে কোনও খাবার দু’জনে ভাগ করে খেতেন । তাই মৃত্যুতেও আলাদা হতে পারলেন না ।’’

প্রতিবেশী সাধনা মণ্ডলের কথায়, দু’জনের মধ্যে এত মিল ছিল যে বলে বোঝানো যাবে না । একসঙ্গে থাকা-খাওয়া থেকে মাঠে যাওয়া । এমনকী গরু চড়াতে গেলেও একসঙ্গে যেতেন । মৃত্যুও তাই দু’জনকে মিলিয়ে দিল ৷ এদিন গ্রামের মানুষ দু’জনের দেহ পাশাপাশি রেখে শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । সাটুইগ্রামের শ্মশানে দু’জনকে পাশাপাশি রেখেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে ।

Last Updated : Jul 24, 2024, 4:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.