অশোকনগর, 11 ফেব্রুয়ারি: মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার অশোকনগরে। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর পৌরসভার 22 নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা এলাকার ঘটনা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হারাধনের রায়ের স্ত্রী সবিতা রায়ের সঙ্গে বাপি সাহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যাকে কেন্দ্র করে
হারাধন ও সবিতার মধ্যে ঝামেলা লেগেই ছিল। অতিষ্ঠ হয়ে এক সময় হারাধন ওড়িশায় রাজমিস্ত্রীর কাজে চলে গিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে সবিতা তাঁকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে স্বামীকে ডেকে পাঠায়। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে হারাধনকে ডাকে সবিতা ৷ বাড়ি থেকে সবিতাকে আনতে অশোকনগর স্টেশনে যান হারাধন। রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা খবর পান, বারাসত কার্সেডের পাশে রেল লাইনের ওপর হারাধনের দেহ পাওয়া গিয়েছে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা সেখানে গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। সন্ধ্যায় দেহ-ময়নাতদন্ত করে অশোকনগরের বাড়িতে নিয়ে আসলে ক্ষোভ ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তার উপর দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ তোলেন সবিতা এবং তার প্রেমিক মিলে হারাধনকে খুন করে রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। আধঘণ্টা বিক্ষোভ চালার পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
হারাধনের মা মনো রায়ের দাবি, "বাপির সঙ্গে হারাধনের স্ত্রী থাকবে। সেই কারণে ওকে ডেকে এনে খুন করেছে। বাপি এবং সবিতার ভাই মিলে খুন করেছে। সবিতাও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত আছে।" অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হারাধনের পরিবার ও এলাকাবাসী। এই ঘটনায় সবিতা রায়, তার ভাই মৃণাল সিকদার, মা স্বপ্না সিকদার ও তার প্রেমিক বাপি সাহার নামে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে হারাধনের পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে বাপি ও মৃণালকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও সবিতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷
আরও পড়ুন: