কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা বিকাশ সিং-কে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছে, তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ । বিকাশ তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে এফআইআর বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন ।
সন্দেশখালির বিজেপি নেতার গ্রেফতারি নিয়ে আজ প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ । রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত । আগামী 28 ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে । বিকাশ সিং-কে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সেই দিন জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে ৷
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সিং । বর্তমানে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি । তাঁকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ । সন্দেশখালি থানার কাছেই তাঁর বাড়ি । অভিযোগ ওঠে, সন্দেশখালিতে হিংসার পিছনে হাত রয়েছে বিকাশের । গ্রামবাসীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ায় এই বিজেপি নেতার । তারপরই তিনি গ্রেফতার হন ।
এ দিন শুনানিতে বিকাশের তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং-এর গ্রেফতারিতে বিস্তর ত্রুটি নিজের রায়ে উল্লেখ করেছে বসিরহাট আদালত । এমনকি তাঁকে এই অভিযোগে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক । একই মামলায় উত্তম সরদার ও বিকাশ সিং-কে গ্রেফতার করা হয় । সেখানে উত্তম সরদার জখম হয়েছেন ও তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ । কিন্তু তাঁর কোনও মেডিক্যাল ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি পুলিশ । পুলিশ উত্তমকে সাক্ষী দেখিয়েও তাঁকে গ্রেফতার করেছে ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, শিবু হাজরার কর্মী ভানু থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁদের মুরগির হ্যাচারি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে । 70-80 জনকে নিয়ে বিকাশ এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ । সেই ঘটনায় বিকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পুলিশ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে । অভিযুক্ত যাতে তাঁর ন্যূনতম অধিকার পেতে না পারেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে একটা কঠিন ধারা যুক্ত করা হয়েছে । এফআইআর-এর বক্তব্য এবং বাস্তবে দেওয়া নথির মধ্যে কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না ।
অন্যদিকে, রাজ্য এই আদালতের এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে । সেই নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হবে । আগামী 28 ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি হবে এই মামলার ।
আরও পড়ুন: