ETV Bharat / state

7 দফা দাবি নিয়ে সোমে পথে নামছে পশ্চিমবঙ্গ ট্রাক অপারেটরস সংগঠন - Truck

Truck Operators Association: করোনা পরিস্থিতির আগে পণ্য পরিবহণের ব্যবসার যে অবস্থা ছিল এখন আর তা নেই । বারবার এই কথা বলেছেন ট্রাক মালিক এবং সংগঠনগুলি । একাধিকবার এইসব অভিযোগের কথা জানিয়ে পরিবহণ দফতরে চিঠি পাঠানো হলেও সুরাহা হয়নি । তাই এবার বাধ্য হয়েই শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দিল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন ।

Etv Bharat
ট্রাকের প্রতীকী ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 28, 2024, 7:40 AM IST

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: অবিলম্বে পুলিশি অত্যাচার বন্ধ করতে এবং অনলাইন মামলা প্রত্যাহার-সহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন । আগামিকাল সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা ৷

করোনা পরিস্থিতির আগে পণ্য পরিবহণের ব্যবসার যে অবস্থা ছিল এখন আর তা নেই । বারবার এই কথা বলেছেন ট্রাক মালিক এবং সংগঠনগুলি । তার সঙ্গে পুলিশি জুলুমবাজি ও জোরপূর্বক টাকা নেওয়া, ওভারলোড, উৎসবের জন্য শহরে ঢুকতে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে প্রবেশে বাধা, যানজটের লম্বা লাইন-সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিব্রত হচ্ছে পণ্য পরিবহণ ব্যবসা । একাধিকবার এইসব অভিযোগের কথা জানিয়ে পরিবহণ দফতরের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে । কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি । তাই এবার একরকম বাধ্য হয়েই শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দিল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন ।

এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন,"একাধিক সমস্যায় আগেই জর্জরিত হয়ে রয়েছে ট্রাক মালিক ও চালকরা । সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা, 2023 অ্যাক্ট । এই নিয়ম অনুসারে ট্রাকের ক্ষেত্রে কোথাও 'হিট অ্যান্ড রান' হলে তা যদি ট্রাক চালক থানায় গিয়ে না জানিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ট্রাক চালককে 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে । এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ 10 বছরের জেলও হতে পারে চালকের ।"

যদিও এই আইনটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে । তবে শুধু বাংলার সংগঠনগুলোই নয়, দেশজুড়ে এই কালা আইনের বিরোধিতা করছে সবকটি সংগঠন । ট্রাক মালিক পক্ষের দাবি যে, আইনটি স্থগিত নয় একেবারে প্রত্যাহার করতে হবে । সম্প্রতি এই আইনের বিরোধিতা করে ধর্মঘটের ডাকও দেয় অল ইন্ডিয়া ট্রেন ফেডারেশন ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, ফিরহাদ হাকিম পরিবহণমন্ত্রী থাকাকালীন বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছিল । ওভার লোড এবং পুলিশি হয়রানি-সহ একাধিক সমস্যা অনেকটাই বন্ধ হয়েছিল । তবে সেইসব সমস্যা পুনরায় শুরু হয়েছে । পুলিশি অত্যাচারের কথা বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে জানানো হলে তিনি জানান যে, পুলিশি বিষয় যেহেতু পরিবহণের মধ্যে পরে না তাই ওই বিষয় দফতরের কিছু করার নেই । এমনটাই দাবি সংগঠনের ।

তাদের দাবিগুলি হল -

  1. অনলাইনে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ৷
  2. ওভারলোড সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে ৷
  3. ট্রাক মালিকদের উপর এনজিআই এর অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে ।
  4. বৈধ বালি খাদান চিহ্নিত করে অবৈধ বালি খাদানগুলি বন্ধ করতে হবে ।
  5. গাড়ি চালানোর সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং ই-চালানে রয়্যালটি টাকা উল্লেখ করতে হবে ।
  6. বালির গাড়ির উপর অযথা বিএলআরও-র হয়রানি বন্ধ করতে হবে ।
  7. জাতীয় ও রাজ্য সড়কে প্রবেশ করার সময় যত্রতত্র নো এন্ট্রি করা যাবে না ।
  8. সুবিধা পোর্টালের রয়্যালটি এক্সপোর্টার ও ট্রান্সপোর্টার কেউ দিতে হবে ।
  9. গাড়ি ভাড়া থেকে রয়্যালটির টাকা কাটা চলবে না ।
  10. ট্রাক মালিকদের ন্যায্য ভাড়া দিতে হবে ।

বহিরাগত অসম-নাগাল্যান্ড ও ভূটানের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ির ক্ষেত্রে ভারতীয় আইন লাগু করা হচ্ছে না । অবিলম্বে এই গাড়িগুলির ক্ষেত্রে ভারতীয় আইন লাগু করতে হবে ।

আরও পড়ুন :

  1. দু'বছরের মধ্যে সব ট্রাকচালকের কেবিন হতে হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত; কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চিন্তায় মালিকপক্ষ
  2. 'কালা আইন' প্রত্যাহার না করলে টানা ধর্মঘটের হুমকি ট্রাক মালিক সংগঠনের
  3. ট্রাকের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে মালিকপক্ষ; সমাধানের আশ্বাস পরিবহণ মন্ত্রীর

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: অবিলম্বে পুলিশি অত্যাচার বন্ধ করতে এবং অনলাইন মামলা প্রত্যাহার-সহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন । আগামিকাল সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা ৷

করোনা পরিস্থিতির আগে পণ্য পরিবহণের ব্যবসার যে অবস্থা ছিল এখন আর তা নেই । বারবার এই কথা বলেছেন ট্রাক মালিক এবং সংগঠনগুলি । তার সঙ্গে পুলিশি জুলুমবাজি ও জোরপূর্বক টাকা নেওয়া, ওভারলোড, উৎসবের জন্য শহরে ঢুকতে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে প্রবেশে বাধা, যানজটের লম্বা লাইন-সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিব্রত হচ্ছে পণ্য পরিবহণ ব্যবসা । একাধিকবার এইসব অভিযোগের কথা জানিয়ে পরিবহণ দফতরের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে । কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি । তাই এবার একরকম বাধ্য হয়েই শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দিল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন ।

এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন,"একাধিক সমস্যায় আগেই জর্জরিত হয়ে রয়েছে ট্রাক মালিক ও চালকরা । সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা, 2023 অ্যাক্ট । এই নিয়ম অনুসারে ট্রাকের ক্ষেত্রে কোথাও 'হিট অ্যান্ড রান' হলে তা যদি ট্রাক চালক থানায় গিয়ে না জানিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ট্রাক চালককে 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে । এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ 10 বছরের জেলও হতে পারে চালকের ।"

যদিও এই আইনটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে । তবে শুধু বাংলার সংগঠনগুলোই নয়, দেশজুড়ে এই কালা আইনের বিরোধিতা করছে সবকটি সংগঠন । ট্রাক মালিক পক্ষের দাবি যে, আইনটি স্থগিত নয় একেবারে প্রত্যাহার করতে হবে । সম্প্রতি এই আইনের বিরোধিতা করে ধর্মঘটের ডাকও দেয় অল ইন্ডিয়া ট্রেন ফেডারেশন ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, ফিরহাদ হাকিম পরিবহণমন্ত্রী থাকাকালীন বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছিল । ওভার লোড এবং পুলিশি হয়রানি-সহ একাধিক সমস্যা অনেকটাই বন্ধ হয়েছিল । তবে সেইসব সমস্যা পুনরায় শুরু হয়েছে । পুলিশি অত্যাচারের কথা বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে জানানো হলে তিনি জানান যে, পুলিশি বিষয় যেহেতু পরিবহণের মধ্যে পরে না তাই ওই বিষয় দফতরের কিছু করার নেই । এমনটাই দাবি সংগঠনের ।

তাদের দাবিগুলি হল -

  1. অনলাইনে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ৷
  2. ওভারলোড সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে ৷
  3. ট্রাক মালিকদের উপর এনজিআই এর অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে ।
  4. বৈধ বালি খাদান চিহ্নিত করে অবৈধ বালি খাদানগুলি বন্ধ করতে হবে ।
  5. গাড়ি চালানোর সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং ই-চালানে রয়্যালটি টাকা উল্লেখ করতে হবে ।
  6. বালির গাড়ির উপর অযথা বিএলআরও-র হয়রানি বন্ধ করতে হবে ।
  7. জাতীয় ও রাজ্য সড়কে প্রবেশ করার সময় যত্রতত্র নো এন্ট্রি করা যাবে না ।
  8. সুবিধা পোর্টালের রয়্যালটি এক্সপোর্টার ও ট্রান্সপোর্টার কেউ দিতে হবে ।
  9. গাড়ি ভাড়া থেকে রয়্যালটির টাকা কাটা চলবে না ।
  10. ট্রাক মালিকদের ন্যায্য ভাড়া দিতে হবে ।

বহিরাগত অসম-নাগাল্যান্ড ও ভূটানের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ির ক্ষেত্রে ভারতীয় আইন লাগু করা হচ্ছে না । অবিলম্বে এই গাড়িগুলির ক্ষেত্রে ভারতীয় আইন লাগু করতে হবে ।

আরও পড়ুন :

  1. দু'বছরের মধ্যে সব ট্রাকচালকের কেবিন হতে হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত; কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চিন্তায় মালিকপক্ষ
  2. 'কালা আইন' প্রত্যাহার না করলে টানা ধর্মঘটের হুমকি ট্রাক মালিক সংগঠনের
  3. ট্রাকের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে মালিকপক্ষ; সমাধানের আশ্বাস পরিবহণ মন্ত্রীর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.