কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মেডিক্যাল কাউন্সিল। স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করেছে আগেই ৷ এবার বাতিল হতে পারে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও। ফলে আর চিকিৎসক থাকবেন না সন্দীপ ঘোষ। বুধবার এই নিয়েই মেডিক্যাল কাউন্সিলে বৈঠক হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও এই মর্মে এখনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি কাউন্সিল, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি আকারে বেরোতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর পর আর ডাক্তারি করতে পারবেন না আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে । সেই অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তখনই স্বাস্থ্য ভবন থেকে সাসপেন্ড করা হয় প্রাক্তন আরজি কর অধ্যক্ষকে। পরবর্তী সময়ে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
গত 7 সেপ্টেম্বর মেডিক্যাল কাউন্সিল শোকজ করে সন্দীপ ঘোষকে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্টও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, জবাব দিতে পারেননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। অন্যদিকে, মঙ্গলবার এই নিয়ে একটি চিঠি মেডিক্যাল কাউন্সিলকে দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। এমনকী বৃহস্পতিবার জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর তরফে একটি মিছিলের ডাকও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার আগেই বুধবার একটি বৈঠক হয় মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সেই বৈঠকেই সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরজি করের তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে শনিবার রাতে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন হাসপাতালেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷ ওই দিনই, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অনেক দেরিতে এফআইআর করা হয়েছে ৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও উঠেছে দু'জনের বিরুদ্ধে ৷