ETV Bharat / state

‘মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় জল গরম হয় না’, রাজ্যভাগ না-চেয়েও উত্তরবঙ্গের বঞ্চনায় সরব শমীক-শঙ্কর - BJP on North Bengal - BJP ON NORTH BENGAL

BJP on Development of North Bengal: সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিজেপি ৷ দলের রাজ্য সভাপতির পাশে না-দাঁড়ালেও অবশ্য উত্তরবঙ্গের বঞ্চনায় সরব হলেন শমীক ভট্টাচার্য-শঙ্কর ঘোষরা ৷

Development of North Bengal
উত্তরবঙ্গের বঞ্চনায় সরব শমীক-শঙ্কর (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 25, 2024, 5:18 PM IST

Updated : Jul 25, 2024, 10:42 PM IST

কলকাতা, 25 জুলাই: বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেন, তাতে জল গরম হয় না ৷ বুধবার রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলেছিলেন ৷ সুকান্তর মন্তব্যকে সমর্থন না-করলেও তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন শমীক ভট্টাচার্য ।

উত্তরবঙ্গের বঞ্চনায় সরব শমীক-শঙ্কর (ইটিভি ভারত)

সুকান্তর মন্তব্যয় আজ দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন বিজেপি’র প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ৷ তিনি জানান, সর্বভারতীয় বিজেপি মনে করে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ভৌগোলিক সীমারেখা অক্ষুন্ন রেখেই সার্বিক আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ও উন্নয়ন সম্ভব ৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, এন সি চট্টোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, রানি জ্যোতির্ময়ী এবং মেঘনাথ সাহার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ৷ পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় 20 জুন, 1947 সালে জ্যোতি বসু ও রতনলাল ব্রম্মও ওই সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন । সুতরাং বিজেপি কোনওদিন বাংলা ভাগের পক্ষে নয় ৷ এটা একটা অপপ্রচার ৷

তাঁর অভিযোগ, বহুদিন ধরে বঞ্চিত ও অবহেলিত উত্তরবঙ্গ ৷ মুখ্যমন্ত্রী কাঞ্চনকন্যা তৈরি করেছেন ৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গের জন্য বাজেটে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাতে চিড়ে ভেজে না ৷ এই টাকায় জল গরম হয় না ৷ এমনকী যে টাকাটা তিনি ধার্য করেন, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ একবার এক বছরে মাত্র 42 শতাংশ খরচ হয়েছে ৷

সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’ মন্তব্য, আর এবার রাজ্যে সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরবঙ্গ নিয়ে মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি ।

বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রেটার কোচবিহার বা কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ ৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপি ৷ দাবি উঠেছে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ৷ এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গকে একেবারে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় অবশ্য রাজ্যভাগের ইঙ্গিত দেখেছে।

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গে জানান, ঐতিহাসিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের এই অংশটি বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে রয়েছে ৷ শিল্প পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক বিষয়ে এই অংশটি পিছিয়ে । তাই স্বাভাবিকভাবে উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিরা একে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে ৷ আগের রাজ্য সরকার এবং বর্তমান রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গকে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত করে রেখেছে । 800 কোটি টাকার বাজেটে 300 কোটি টাকার বাজেটও তারা উত্তরবঙ্গের জন্য খরচ করেন না ।

উত্তর-পূর্ব ভারতকে কেন্দ্রীয় সরকার একটি স্পেশাল প্যাকেজ দিয়ে থাকেন তার কতগুলো প্যারামিটারের জন্য ৷ সেই প্যারামিটারগুলো উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মিলে যায় ৷ স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে উত্তরবঙ্গকে রেখেই উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো বিশেষ ছাড় বা প্যাকেজ দেওয়া হোক ।

কলকাতা, 25 জুলাই: বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেন, তাতে জল গরম হয় না ৷ বুধবার রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলেছিলেন ৷ সুকান্তর মন্তব্যকে সমর্থন না-করলেও তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন শমীক ভট্টাচার্য ।

উত্তরবঙ্গের বঞ্চনায় সরব শমীক-শঙ্কর (ইটিভি ভারত)

সুকান্তর মন্তব্যয় আজ দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন বিজেপি’র প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ৷ তিনি জানান, সর্বভারতীয় বিজেপি মনে করে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ভৌগোলিক সীমারেখা অক্ষুন্ন রেখেই সার্বিক আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ও উন্নয়ন সম্ভব ৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, এন সি চট্টোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, রানি জ্যোতির্ময়ী এবং মেঘনাথ সাহার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ৷ পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় 20 জুন, 1947 সালে জ্যোতি বসু ও রতনলাল ব্রম্মও ওই সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন । সুতরাং বিজেপি কোনওদিন বাংলা ভাগের পক্ষে নয় ৷ এটা একটা অপপ্রচার ৷

তাঁর অভিযোগ, বহুদিন ধরে বঞ্চিত ও অবহেলিত উত্তরবঙ্গ ৷ মুখ্যমন্ত্রী কাঞ্চনকন্যা তৈরি করেছেন ৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গের জন্য বাজেটে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাতে চিড়ে ভেজে না ৷ এই টাকায় জল গরম হয় না ৷ এমনকী যে টাকাটা তিনি ধার্য করেন, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ একবার এক বছরে মাত্র 42 শতাংশ খরচ হয়েছে ৷

সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’ মন্তব্য, আর এবার রাজ্যে সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরবঙ্গ নিয়ে মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি ।

বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রেটার কোচবিহার বা কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ ৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপি ৷ দাবি উঠেছে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ৷ এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গকে একেবারে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় অবশ্য রাজ্যভাগের ইঙ্গিত দেখেছে।

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গে জানান, ঐতিহাসিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের এই অংশটি বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে রয়েছে ৷ শিল্প পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক বিষয়ে এই অংশটি পিছিয়ে । তাই স্বাভাবিকভাবে উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিরা একে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে ৷ আগের রাজ্য সরকার এবং বর্তমান রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গকে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত করে রেখেছে । 800 কোটি টাকার বাজেটে 300 কোটি টাকার বাজেটও তারা উত্তরবঙ্গের জন্য খরচ করেন না ।

উত্তর-পূর্ব ভারতকে কেন্দ্রীয় সরকার একটি স্পেশাল প্যাকেজ দিয়ে থাকেন তার কতগুলো প্যারামিটারের জন্য ৷ সেই প্যারামিটারগুলো উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মিলে যায় ৷ স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে উত্তরবঙ্গকে রেখেই উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো বিশেষ ছাড় বা প্যাকেজ দেওয়া হোক ।

Last Updated : Jul 25, 2024, 10:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.