কলকাতা, 30 জুলাই: রেশন দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের রাইস মিলকে বরাত না-দেওয়ার পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে জোর সওয়াল রাজ্যের । মঙ্গলবার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিলকে বরাত না-দেওয়ার পক্ষে যুক্তি পেশ করল রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী ৷ তাঁর প্রশ্ন, যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে, যাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছে, তাঁর সংস্থাকে কীভাবে বরাত দেওয়া সম্ভব ?
মামলাকারীর বক্তব্য, ওই রাইস মিলের একাধিক ডিরেক্টর রয়েছে । তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই । যাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই । নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই । তাহলে কেন তাঁদের বরাত দেওয়া বন্ধ করা হবে ? শুনানি শেষে এদিন রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত ৷ বিচারপতি শুনানিতে বলেন, ‘‘রাইস মিলে ধান না-গেলে, চালের জোগান কমলে সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ ।’’
রাতে সংশোধনাগারে আচমকাই বুকে ব্যথা, কেমন আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ?
এনপিজি রাইস মিলের আইনজীবীর বক্তব্য, বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও সে শুধু কোম্পানির একজন ডিরেক্টর । কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই । সেক্ষেত্রে রাইস মিল কেন বরাত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে ? রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একজন ডিরেক্টর ইডি কাস্টডিতে থাকায় বরাত বন্ধ করা হল ৷ কিন্তু রাইস মিলের মোট 9 জন ডিরেক্টর রয়েছেন । আইন অনুযায়ী কারও নামে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই ।
বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পরেই তাঁর কোম্পানিকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ করে রাজ্য । তারপরেই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন বাকিবুরের ভাই সঈদুল রহমান ও এনপিজি রাইস মিল ।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় উত্তর 24 পরগনায় বাকিবুর রহমানের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি । তাঁকে জেরা করেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক পর্যন্ত পৌঁছয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ বর্তমানে দু’জনেই জেলে রয়েছেন ।