কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: যাদবপুর, টালিগঞ্জ, গড়িয়া এলাকায় এখনও পরিশ্রুত পানীয় জল সব ঘরে পৌঁছে দিতে পারেনি কলকাতা কর্পোরেশন। সেই অংশে এবার পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র ও পাঁচটি বুষ্টিং পাম্পিং সেন্টার তৈরি হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের কাছে 10 মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেই জল বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিস্তীর্ণ এলাকায় দ্রুত পৌঁছতে আরও 5টি বুষ্টিং পাম্পিং সেন্টার করার অনুমতি মিলল মেয়র পারিষদ বৈঠকে। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে শুরু হয়েছে জল উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ। সেই কাজ নিয়ে মেয়র পরিষদ বৈঠকে আধিকারিকদের প্রতি মুহূর্তে রিভিউ করার ও কাজ দ্রুত করার বার্তা দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রকল্প চালু হলে যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও গড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে পরিশ্রুত পানীয় জল। 97, 98, 99, 100, 111, 112, 114 নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলেও খবর।
সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে যাদবপুরের সন্তোষপুর এলাকা থেকে পানীয় জল পর্যাপ্ত না-পাওয়ার অভিযোগ আসে। এই এলাকাগুলিতে গভীর নলকূপের জলে প্রচুর আয়রন ওঠে। যা খাওয়ার অযোগ্য। তেমন অভিযোগও এসেছে বাসিন্দাদের থেকে। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এই মুহূর্তে পরিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, পর্যাপ্ত জল নেই। আরও দুটো বছর অপেক্ষা করুন। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই পরিশুদ্ধ পানীয় জল মিলবে।"
পানীয় জল সরবরাহ বিভাগীয় আধিকারিকদের লক্ষ্যমাত্রা ধরে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খিদিরপুর থেকে গঙ্গার জল পাইপলাইনের মাধ্যমে তুলে নিয়ে এসে এই জল প্রকল্পে শোধন করা হবে। তারপর সেই পরিশুদ্ধ জল বাড়ি বাড়ি সরবরাহ হবে। ইতিমধ্যেই সেই পাইপলাইন পাতা হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সেই জল সরবরাহের ক্ষেত্রে তা সঠিকভাবে বন্টনের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাধার এবং বুস্টার পাম্পিং তৈরি হচ্ছে। 130, 110, 99, 100, 103 নম্বর ওয়ার্ডে হবে বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার। এছাড়াও ধাপায় জয়হিন্দ জল প্রকল্প বাড়ছে 30 মিলিয়ন গ্যালন উৎপাদনের ক্ষমতা। এই দুই প্রকল্প মিলিয়ে খরচের অঙ্ক প্রায় 700 কোটি টাকা বলেই কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে।