গাইঘাটা, 18 মে: রাস্তা তৈরির জন্য বসেছিল ফলক । বরাদ্দ হয়েছিল টাকাও ৷ তবুও এখনও তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা । প্রত্যেক ভোটের আগে নেতারদের প্রতিশ্রুতি পেয়ে পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা ৷ তাই তাঁরা লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রাম জুড়ে ভোট বয়কটের পোস্টার লাগিয়েছেন ৷ তাঁদের দাবি, "আগে রাস্তা, পরে ভোট ৷" বিক্ষোভের জেরে গ্রামবাসীদের বোঝোতে শেষে আসরে নামতে হয় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে । কিন্তু তাতেও ভিজলো না চিড়ে । এই ঘটনা উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা ব্লকের রামনগর গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়া আগারপাড়ার ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 1968 সাল থেকে তিন-চারটি গ্রামের মানুষ বসবাস করছেন এখানে । তাঁদের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা বেহাল । রাস্তা খারাপের ফলে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে অসুবিধায় পড়ে । ফলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা রাস্তার দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা । গ্রামবাসীদের দাবি, ভোট আসলে নেতারা গ্রামে আসে, মেলে প্রতিশ্রুতি । রাস্তার মাপঝোপও করা হয় । কিন্তু ভোট মিটে গেলে রাস্তা আর হয় না । তাঁদের আরও দাবি, 2020-21 সালে মনরেগা প্রকল্পের অধীনে কংক্রিটের রাস্তার অনুমোদন হয় । গ্রামে পড়ে পাথর, বালি । লাগানো হয় প্রকল্পের ফলকও । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই বালিও তুলে নেওয়া হয় । ফলে এবার গ্রামবাসীরা কোন প্রতিশ্রুতি চান না । তাঁরা দাবি তুলেছেন, আগে রাস্তা পরে ভোট ।
গ্রামের সর্বত্র দাবিগুলি পোস্টার করে টাঙিয়ে রেখেছেন বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শুক্রবার গ্রামে যান রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর । তিনি গ্রামে ঢুকতেই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । বিক্ষোভের মুখে পরে তাঁদের ভোটের পরে রাস্তা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি । পাশাপাশি গ্রামবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বলেন । তবে গ্রামবাসীরা তাঁদের অবস্থানে অনড় ।
মমতাবালা ঠাকুর বলেন, "গ্রামবাসীদের দাবি নায্য । কোন গাফিলতির কারণে রাস্তা হয়নি । কার কী গাফিলতি রয়েছে তা দেখা হবে । ভোটের পরে রাস্তা হবে । গ্রামবাসীদের বলেছি ভোট দিতে যেতে ।" ফলক বসেও রাস্তা না হওয়ার পিছনে দুর্নীতি দেখছে বিজেপি । বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "গ্রামবাসীদের বলব ভোট বয়কট করবেন না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিন । আমরা ক্ষমতায় আসলে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা করে দেব ।"
আরও পড়ুন: