বোলপুর, 23 মার্চ: শান্তিনিকেতনে এবারও হচ্ছে না বসন্তোৎসব। তবে কেন এবারও বসন্তোৎসব করল না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এনিয়ে টানা পাঁচ বছর ছেদ পড়ল শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবে ৷ 25 মার্চ বিশ্বভারতী চত্বরে পর্যটকরা যাতে না-ঢুকতে পারে সেজন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও, বসন্তোৎসবের আশায় বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সমস্ত হোটেল, রিসর্ট, লজ বুক হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
2019 সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের আশ্রম মাঠে বসন্তোৎসব হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক গাফিলতির জন্য চরম বিশৃঙ্খলা হয়েছিল সেবার। উপচে পড়া ভিড়ে ক্ষতি হয়েছিল বিশ্বভারতীর ভাস্কর্য, ভবনগুলির। 2020 ও 2021 সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব ৷ 2022 ও 2023 সালে তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী 'বসন্ত তাণ্ডব' চাই না-বলে উৎসব বন্ধ করে দেন ৷ এবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক। সকলেই মনে করেছিলেন উপাচার্য বদলের পর এবার হয় তো শৃঙ্খলা মেনে বসন্তোৎসব হবে ৷
কিন্তু 25 মার্চ শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব। তবে কেন উৎসব হচ্ছে না, তা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিকে, উৎসবের আশায় বোলপুর-শান্তিনিকেতনে একটিও হোটেল, রিসর্ট, লজ, হোম-স্টে খালি নেই। সবই অগ্রিম বুক হয়ে রয়েছে। বসন্তোৎসবের দিন যাতে আশ্রম চত্বরে পর্যটকেরা ঢুকে না-পড়ে তার জন্য সব গেটেই নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব না-হওয়ায় মন খারাপ বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীদের।
কারণ উৎসবের দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। জনমত অনুযায়ী, প্রতিবছর যদি এভাবে বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব করতে উদ্যোগী না-হয় তাহলে আগামিদিনে এই আন্তর্জাতিক মানের উৎসব হারিয়ে যেতে বসবে। বহু মানুষ আশা করেছিলেন, বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অবসর নেওয়ার পরে যে ভাবে মেলার মাঠে পৌষমেলা ফিরেছে, তেমনই বসন্ত উৎসবও ফিরবে। কিন্তু তা আর হল না ৷
আরও পড়ুন:
- পঞ্চম দোল উৎসবে মাতল কুলটির চট্টরাজ পরিবার
- বৃহন্নলাদের দোল উৎসব, আয়োজনে মহিলা তৃণমূল
- অর্ধশতক পর হোলিতে বাড়ছে তাপামাত্রার পারদ, বলছে সমীক্ষা