কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: নামে মাত্র থানা। সেখানে চুরি-সহ অন্যান্য ঘটনার তদন্ত হত। কিন্তু থানায় নেওয়া হত না শেখ শাহাজাহান ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, তারা জমি-বাড়ি সংক্রান্ত বিষয়ে শেখ শাহাজাহানের সাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু হাজরা ও তার সঙ্গী উত্তর সর্দারের নামে কোনও অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে পালটা সমস্যা সমাধানের জন্য শাহাজাহানের কাছেই পালটা পাঠিয়ে দেওয়া হত ৷
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শাহজাহান এবং তার দলবলের নামে অভিযোগ সুরাহা করবে নাকি খোদ অভিযুক্ত শেখ শাহাজাহান এবং তার দলবল; এমনটাই দাবি করত পুলিশ। তাঁদের আরও দাবি, বর্তমানে শেখ শাহজাহান এবং তার সাগরেদদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে এখন গ্রামবাসীদের মনোবল তুঙ্গে। এতদিন তাঁরা পুলিশ এবং শেখ শাহজাহানের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারতেন না, কিন্তু এখন তারা তা পারছেন। গ্রামবাসীরা আরও জানান, মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঠকিয়ে কিনে নিচ্ছে মাছের ভেড়ি ৷
মাছের ভেড়ি থেকে শুরু বিভিন্ন ফ্ল্যাটদিনে দুপুরে তৈরি করে দিয়েছে শেখ শাহজাহান এবং তার দলবলের লোকেরা। কেউ কেউ পেয়েছেন জমির পরিবর্তে অর্ধেক টাকা এবং কেউ পেয়েছেন প্রাণের হুমকি। গতকালের পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা। গ্রামের মহিলারা হাতে বাস লাঠি-সোঁটা নিয়ে থানা সামনে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে শেখ শাহজাহান এবং তার দলবলের লোকদের।
গ্রামবাসী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে গ্রামবাসীরা অনড়। উচ্চ পদাধিকারিকদের দেখে তারা ফেটে পড়েন এবং বলতে থাকেন যে এতদিনে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কোথায় ছিলেন? এতদিন কেন সাধারণ মানুষের কথা শোনার জন্য আসেনি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা? এখন যখন পরিস্থিতির হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে তখন তাদের স্রেফ বোকা বানানোর জন্য ঘটনার ফলে উপস্থিত হয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না শাহজাহান এবং তার সাগরেদদের পুলিশ গ্রেফতার করতে সামর্থ হচ্ছে ততক্ষণ তারা থানা সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন।
আরও পড়ুন: