জলপাইগুড়ি, 4 এপ্রিল: মাথার উপর চাল ছিল না । কষ্ট করে বাড়ি বানিয়েছিলেন বিশু রায় ৷ বৈশাখের শুরুতে গৃহপ্রবেশ করবেন ভেবেছিলেন । তার আগেই কালবৈশাখী সব কেড়ে নিল । মাত্র কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সর্বহারা বার্নিস গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁটুমারি এলাকার বিশু ৷
এলাকায় একটি ছোট দোকানের ব্যবসায়ী বিশু । চড়া সুদে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে পাকা ঘর তৈরি করেছিলেন তিনি ৷ দোকানের লাভ থেকেই ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতেন । কিন্তু এক নিমেষেই সব শেষ । রবিবারের ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে । গোটা এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে । এলাকায় বাড়ি ঘর বলতে কিছুই নেই । তার পাকা ঘরও ভেঙে পড়়েছে । স্ত্রী, শিশু সন্তান এবং মা-কে নিয়ে ভাঙা বাড়ির নিচে আটকে পড়েছিলেন তিনি ।
তাঁদের এখন ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে । কীভাবে সংসার চলবে, কীভাবেই বা ঋণের টাকা শোধ করবেন সেটাই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । কার্যত মাথায় হাত পড়েছে তাঁর । বিশু রায়দের মতো এমন কয়েকশো মানুষ আছে বার্নিস এবং পুঁটিমারির একাধিক গ্রামে । প্রকৃতির ধ্বংসলীলায় যাদের সবকিছু শেষ । বর্তমানে তারা সর্বশান্ত । সকলের একটাই দাবি, সরকার পাশে থেকে তাঁদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করুক ।
বিশু রায় বলেন, "আমাদেরকে রাস্তায় বসিয়ে দিল । আমাদের ছাগল-গরু কিছুই রইল না ৷ দোকান-ঘর সব শেষ ৷ সরকার যদি সাহায্য না-করে তাহলে শেষ হয়ে যাব । ঘর বানিয়েছিলাম ঋণ নিয়ে ৷ এখন কীভাবে শোধ করব সেটা ভেবেই পাচ্ছি না ।" এদিকে গোপাল সেন বলেন, "কীভাবে বাড়ি ঘর বানাব সেটাই ভাবছি ৷ আস্তে আস্তে সব করতে হবে ৷ কিন্তু খাব কী ?"
আরও পড়ুন: