বারাসত, 22 সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দিন পরিবর্তন করার আর্জি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ।
তিনি বলেন, "স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন ! স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে ? ভিনগ্রহের কিংবা ভিন রাজ্যের মানুষ তো আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী নন ! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী । তাই তাঁর ফেঁসে না যাওয়ার কী আছে? "
শনিবার বিকেলে বারাসতে মতুয়াদের এক সম্মেলনে অতিথি হিসেবে হাজির হন তিনি । সেই সম্মেলন থেকে বারাসত সাংগঠনিক জেলার জন্য মতুয়াদের নতুন কমিটি গঠন করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । এরপরই আরজি কর মামলায় রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছনোর আর্জির বিরোধিতা করেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ৷
আরজি কর-কাণ্ডে তথ্য-প্রমাণ লোপাটে মুখ্যমন্ত্রীর হাত রয়েছে কি না, তার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "তথ্য-প্রমাণ লোপাটে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন ! সকলেই যুক্ত । তথ্য-প্রমাণ লোপাট তো হয়েছেই । সেমিনার হলের ভিতরে ভাঙা হল । তাতে খননকার্য চলল, এগুলো হয়েছে বলেই তো সন্দীপ ঘোষকে ধরার সাহস দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী ।"
তবে আরজি কর-কাণ্ডে প্রকৃত দোষীরা সকলেই সাজা পাক । সেই দাবিতেও সরব হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর । আরজি কর-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর পালটা চাপের কৌশল নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল । মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুবিচার চেয়ে আগামী 28 সেপ্টেম্বর পথে নামছে তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনী । এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, "পথে যে কেউ নামতে পারে । তাতে অসুবিধা নেই । সিবিআই চুপ করে বসে নেই । তাঁরা তাদের মতো করে তদন্ত করছে । সেটা সকলেই দেখতে পাচ্ছে ।"
এদিকে, আরজি কর মেডিক্যালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে ওষুধ কেনার গরমিলের অভিযোগ প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ বলেন, "এই অভিযোগ নতুন নয় ! ওখানে আগে থেকেই ওষুধ কেনাবেচা নিয়ে একটা 'ঘোটালা' হয়েছে । সেই ঘোটালা ঢাকতেই ওই মহিলা চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে বলে আমি মনে করি । সব সত্য সামনে আসবে ।"
অন্যদিকে অপহরণ-কাণ্ডে মূল চক্রী বারাসত পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার গ্রেফতার হতেই তাঁর একের পর এক কীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে । সেই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "এসব চুনোপুঁটি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না । তবে তৃণমূলের এটাই ঘরানা । মানুষ এখন সবকিছু বুঝতে পারছে । তাঁরা প্রতিবাদ করতে চাইলেই তাঁদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, 500 অথবা 1000 টাকার বিনিময়ে ।"