ETV Bharat / state

কারিগরী দফতরের দুই অস্থায়ী কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার রায়গঞ্জে, গ্রেফতার বন্ধু

Bodies Recovered in Raiganj: রায়গঞ্জে বাড়ি থেকে রক্তাক্ত জোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ৷ মৃত দু'জনেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ৷

Two Bodies Recovered
রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 10, 2024, 5:54 PM IST

পিএইচই দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

রায়গঞ্জ, 10 ফেব্রুয়ারি: জোড়া রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে । নিহত দুই ব্যক্তির একজনের নাম তপন দে (54) ৷ অপরজনের নাম মিন্টু সরকার ওরফে বাপি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে রায়গঞ্জ পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ায়। তপনের বাড়ি ওই এলাকাতেই ৷ তবে মিন্টুর বাড়ি হেমতাবাদ থানার ঠাকুরবাড়ি এলাকায় । তপন ও মিন্টু দু'জনেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে । রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে দেহগুলি । এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপা বলেন, "রায়গঞ্জের 13 নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে দু'জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে । ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু চলছে ।"

স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে তাঁর মেয়ে তানিয়ার সঙ্গে থাকতেন । স্ত্রী সুলেখা দে দু'বছর আগে তপনকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবারে তপনের বন্ধু রতন তাঁর বাড়িতে আসেন । সে সময় তপনের সঙ্গেই ছিলেন মিন্টু সরকার । কিছুক্ষণ পরে রতন সরকারকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি তপনের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা ৷ দেখেন, তপন ও মিন্টুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে । খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । কিছুক্ষণের পরে সেখানে আসেন রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপাও। এই ঘটনায় রতনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।

মৃত তপনের বউদি মিলি দে বলেন, "তপনের বন্ধু রতনকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলাম । বাড়িতে ঢোকার সময় রতন আমার সঙ্গে কথাও বলে । এরপরে আমি আমার কাজ করতে টলে যাই । তারপরে এই কাণ্ড ঘটল ৷ তপন ও আরেকজননের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ রতনই খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে । তপনের বন্ধু রতনের উপযুক্ত শান্তির দাবি জানাচ্ছি ।"

অন্যদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর অর্ণব মণ্ডল জানান, এই ঘটনাটি শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন ৷ এখানে এসে দেখেন তপন নামে এক ব্যক্তির খুন হয়েছে ৷ সঙ্গে অপর একটি এক ব্যক্তিরও রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । তিনি বলেন, "তপনবাবু তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন । মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. জমি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ! খুনের কারণ পারিবারিক বিবাদ না ত্রিকোণ প্রেম?
  2. 'আমি তোমাকেই ভালোবাসি...' প্রেমিকাকে সুইসাইড নোট লিখে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার
  3. মদ্যপ অবস্থায় বচসা, বন্ধুর হাতে কেরলে খুন মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক !

পিএইচই দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

রায়গঞ্জ, 10 ফেব্রুয়ারি: জোড়া রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে । নিহত দুই ব্যক্তির একজনের নাম তপন দে (54) ৷ অপরজনের নাম মিন্টু সরকার ওরফে বাপি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে রায়গঞ্জ পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ায়। তপনের বাড়ি ওই এলাকাতেই ৷ তবে মিন্টুর বাড়ি হেমতাবাদ থানার ঠাকুরবাড়ি এলাকায় । তপন ও মিন্টু দু'জনেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে । রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে দেহগুলি । এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপা বলেন, "রায়গঞ্জের 13 নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে দু'জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে । ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু চলছে ।"

স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে তাঁর মেয়ে তানিয়ার সঙ্গে থাকতেন । স্ত্রী সুলেখা দে দু'বছর আগে তপনকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবারে তপনের বন্ধু রতন তাঁর বাড়িতে আসেন । সে সময় তপনের সঙ্গেই ছিলেন মিন্টু সরকার । কিছুক্ষণ পরে রতন সরকারকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি তপনের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা ৷ দেখেন, তপন ও মিন্টুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে । খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । কিছুক্ষণের পরে সেখানে আসেন রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপাও। এই ঘটনায় রতনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।

মৃত তপনের বউদি মিলি দে বলেন, "তপনের বন্ধু রতনকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলাম । বাড়িতে ঢোকার সময় রতন আমার সঙ্গে কথাও বলে । এরপরে আমি আমার কাজ করতে টলে যাই । তারপরে এই কাণ্ড ঘটল ৷ তপন ও আরেকজননের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ রতনই খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে । তপনের বন্ধু রতনের উপযুক্ত শান্তির দাবি জানাচ্ছি ।"

অন্যদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর অর্ণব মণ্ডল জানান, এই ঘটনাটি শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন ৷ এখানে এসে দেখেন তপন নামে এক ব্যক্তির খুন হয়েছে ৷ সঙ্গে অপর একটি এক ব্যক্তিরও রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । তিনি বলেন, "তপনবাবু তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন । মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. জমি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ! খুনের কারণ পারিবারিক বিবাদ না ত্রিকোণ প্রেম?
  2. 'আমি তোমাকেই ভালোবাসি...' প্রেমিকাকে সুইসাইড নোট লিখে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার
  3. মদ্যপ অবস্থায় বচসা, বন্ধুর হাতে কেরলে খুন মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক !
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.