দুর্গাপুর, 29 জানুয়ারি: পানাগড়ের ব্যবসায়ী অপহরণ-কাণ্ডে ধৃতদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার আরও দুই । অন্ডাল থানার কাজোড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দু'জনকে । ধৃতদের নাম শিবদানি মোদি ও অশোক রবিদাস ৷ পুলিশি হেফাজত চেয়ে মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের । বিচারক চারদিনের পুলিশি হেফাজতে মঞ্জুর করেছেন তাঁঁদের ৷
অন্যদিকে সংশোধনাগারেই টিআই প্যারেড হবে অপহরণ-কাণ্ডে আগে ধৃত পাঁচজনের । অর্থাৎ তাঁরাই ঘটনাস্থলে ছিলেন কি না, তা শনাক্তকরণ হবে ৷ কাঁকসা থানার বিরুডিহার বাসিন্দা পাথর ব্যবসায়ী জয়ন্ত গড়াইকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এমটেক পাশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের কর্মী সুপ্রিয় খাওয়াশ, বিটেক পাশ সোহম চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব বিশ্বাস, বিমলেশ কুমার ঠাকুর ও অভিজিৎ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে বুদবুদ থানার পুলিশ । তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ৷ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা ।
পুলিশ জানিয়েছে, কাজোড়া এরিয়ার ইসিএল কর্মী এমটেক পাশ নিউটাউনশিপ থানার টেটিখোলার বাসিন্দা সুপ্রিয় খাওয়াশ'ই অপহরণ-কাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিলেন । সেই মর্মে নিউটাউনশিপ থানায় অভিযোগ হয় । সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে সোমবার রাতে অন্ডাল থানার কাজোড়া থেকে শিবদানি মোদি ও অশোক রবিদাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
অভিযোগ, ওই দু'জনেই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন সুপ্রিয়কে । মঙ্গলবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এই দু'জন আর কী কী ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছেন নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ ।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, "অন্ডালের কাজোড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছে দুই দুষ্কৃতী ৷ তারাই অপহরণকারীদের কাছে যে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ পাওয়া গিয়েছিল তার যোগান দিয়েছিল । এদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কে বা কারা জড়িত আছে এই ঘটনায়, সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ।"
উল্লেখ্য, পাথর ব্যবসায়ী জয়ন্ত গড়াইয়ের কাছের লোক বলে পরিচিত ছিল বিমলেশ কুমার ঠাকুর । তারই মস্তিষ্কপ্রসূত কি এই অপহরণের ষড়যন্ত্র? পুলিশের আধিকারিকরা এখন সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে । ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তাঁকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাঁর কাছে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায় করে অপরাধীরা বলেও অভিযোগ ।
