মেদিনীপুর/তালডাংরা, 23 নভেম্বর: কাজে এল না শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যুই ৷ আরজি করের প্রভাব উড়িয়ে দিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল । একই সঙ্গে অভিনেত্রী জুন মালিয়ার জয়ের ব্যবধানের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মার্জিন বাড়ালেন শাসকদলের প্রার্থী সুজয় হাজরা । তাঁর বার্তা, "আশা করেছিলাম চল্লিশের উপর ভোটের মার্জিন হবে ।"
দশ দিনের মাথায় উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হল রাজ্যে ৷ আর সেই উপনির্বাচনে এবার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল তৃণমূল । দলীর কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে ৷ কারণ বঙ্গে উড়ছে কেবল সবুজ আবির ৷ মেদিনীপুরও তাঁর থেকে বাদ নেই ৷ মোট 33 হাজার 190 ভোটে মার্জিন রেখে এবারে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ রায়কে হারিয়েছেন তৃণমূলের সুজয় হাজরা ।
মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি তিনি ৷ পরিচিত মুখ ৷ সেটাকে কাজে লাগিয়ে এবার জয়ের ধ্বজা ওড়ালেন তিনি ৷ যদিও এবারের লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না । তবে আরজি কর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থীই । আর তাই নিয়ে জেলায় শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ । সুজয় হাজরাকে কাছে পেয়ে আপ্লুত কর্মীরা । তাঁরা রীতিমতো মালা পরিয়ে, বাজি ফাটিয়ে, ব্যান্ড তাসা নিয়ে মিছিল করতে করতে গোটা শহর পরিক্রমা করেন ।
সুজয় হাজরা বলেন, "আমার প্রথম কাজই হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা ।" এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, "সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছে আমাকে । তবে মার্জিনটা আরও বাড়লে ভালো হতো । আমরা ভেবেছিলাম 40 হাজারের উপর মার্জিন হবে । কেন হল না তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ 2026 সালে এর দ্বিগুন ভোট দেবে মানুষ ।"
অন্যদিকে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু । তিনি 34 হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেলেন । তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষের ভরসার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের এই ফলাফল ।"
তৃণমূল কংগ্রেসের এই জয়ের ফলে সিমলাপালে উড়ল সবুজ আবির । রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা । এ দিকে তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী অভিনন্দন জানালেন ফাল্গুনী সিংহবাবুকে ৷ তিনি বলেন, "বলার কিছু নেই । যিনি জয়লাভ করেছেন তার জন্য রইল অনেক অভিনন্দন । প্রচারে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি ৷ মানুষের সাড়াও মিলেছিল । কিন্তু তার প্রভাব হয়তো ভোট বাক্সে পড়েনি ৷"