কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও বিচার সম্পূর্ণ হয়নি ৷ ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্মবিরতি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা ৷ শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় ফিরছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
তবে আন্দোলন চলবে ৷ শুক্রবার সেই কথা বুঝিয়ে দিল বাংলার মানুষ ৷ দক্ষিণ কলকাতা থেকে উত্তর কলকাতা ৷ মশাল হাতে দীর্ঘ 42 কিলোমিটার পথ হাঁটলেন বিভিন্ন পেশা, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ৷ স্মৃতি উস্কে দিলেন 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচির ৷ বিকেল 4টে থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে ছিলেন তারকা, বুদ্ধিজীবী, কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বৈজ্ঞানিক, অধ্যাপক এমনকী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও ৷
মশাল হাতে স্লোগান দেন কম বয়সি থেকে বৃদ্ধ সকলেই ৷ দাবি একটাই, 'উই ডিমান্ড জাস্টিস', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' ৷ রুবি ক্রশিং, ভিআইপি বাজার, সায়েন্সসিটি, চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, মল্লিক বাজার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে মিছিল শেষ হয় শ্যামবাজারে ৷ দীর্ঘ এই মিছিলের কারণে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচলও ব্যাহত হয় ৷
নির্যাতিতার বিচারের দাবি মিছিলে হাঁটেন কলকাতার বাসিন্দা 80 বছরের রেনুকা দাস ৷ তিনি বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড় থেকে মিছিলে যোগ দেন ৷ তিনি বলেন, "অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও, আন্দোলনে এসেছি ৷ আমি এই লড়াইয়ের সাফল্য কামনা করি ৷ নির্যাতিতা চিকিৎসক আমার নাতনির বয়সি ৷ আর কোনও নাতনির যেন এমন ভয়ঙ্কর দশা না হয় ৷"
মিছিলে বাকিদের সঙ্গে পা মেলান গবেষক রিমঝিম সিনহা ৷ তিনি জানান, নির্যাতিতার সু-বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে ৷ তাঁর কথায়, "নৃশংস এই ঘটনার সকল দোষীদের শাস্তি না-দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে ৷"
প্রসঙ্গত, আরজি কর ঘটনার তদন্তে একাধিক তথ্য় খুঁজে বের করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যেই, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে, মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ আগামী 27 সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৷