কলকাতা, 13 নভেম্বর: নভেম্বর মাসের দু'সপ্তাহ কেটে গেলেও বঙ্গে এখনই শীতের কামড় নেই ৷ একটু একটু করে হিমেল হাওয়ার উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে বাংলায়। ভোর পেরিয়ে সকাল এবং সকাল গড়িয়ে বেলাতেও রোদের তাপের সেই তীব্রতা নেই। গায়ে রোদ লাগলে অস্বস্তি হচ্ছে, তবে জ্বলে পুড়ে যাওয়ার অনুভূতি নেই। বরং হাওয়ায় হালকা ঠান্ডা অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পরে পরিস্থিতিটা আরেকটু ঠান্ডা।
আজ, বুধবার দিনের আকাশ পরিষ্কার। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 31 ডিগ্রি এবং 23 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া বরাদ্দ বঙ্গের জন্য। যেটুকূ ঠান্ডা অনুভূতি মিলছে, তা শীতের আগমবনীবার্তা। তবে শীতের ছোঁয়া মিলতে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ দেশের যেসব অংশে শীত পড়লে বঙ্গে শীত পড়ে সেখানেই এখন যথেষ্ট গরম। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম রাজ্যে শীত পড়লে বঙ্গে শীত অনুভূত হয়। সেদিক থেকে আগামী মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে শীত পড়তে পারে বঙ্গে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার থেকে পারদ নামবে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ 2 থেকে 4 ডিগ্রি নেমে যেতে পারে। ফলে অগ্রাহায়ণ শুরু থেকেই হেমন্তের হিমেল হাওয়ার দাপট বাড়বে। আপাতত বঙ্গজুড়ে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকে টান হালকাভাবে পড়তে শুরু করেছে। সারা রাত ফ্যান চালালে গায়ের চাদর দিতে হচ্ছে। ভোরের দিকে ঠান্ডার অনুভূতিতে সর্দিকাশির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের অভিমুখ বুঝে চলাই উচিত, বলছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 30.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.2 ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 22.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2.5 ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 91 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 49 শতাংশ।