মেদিনীপুর, 30 অগস্ট: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নয়া বিতর্ক। এবার মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকদের বন্ধ ক্লাসঘরে চটুল গানের সঙ্গে নাচতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল ৷ আর এক্ষেত্রেও কাঠগড়ায় সেই রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র নেতা ৷ শাসকদলের ছাত্রনেতার দাপাদাপি এবং মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকদের উত্যক্ত করা নিয়ে শুক্রবার প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দীকে ঘেরাও করলেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ পড়ুয়াদের। ছাত্রনেতাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও তাঁরা জানান। তাঁদের দাবি মেনে অবশেষে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রনেতার ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে নারাজ হবু ডাক্তাররা।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে ধিক্কার ও প্রতিবাদ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এরই সঙ্গে একাধিক আন্দোলন, মিটিং-মিছিল, প্রতিবাদ চলছে শহর থেকে গ্রামে। তারই মধ্যে খোদ মেদিনীপুর শহরের মেডিক্যাল কলেজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এবার শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন হবু ডাক্তার-সহ চিকিৎসকরা।
পড়ুয়া ডাক্তারদের অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক শাসকদলের নেতা রয়েছেন। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই তাঁর ব়্যাগিংয়ের শিকার হতে হয় তাঁদের। আইটেম গানের সঙ্গে নাচ থেকে বিভিন্ন সময় হুমকি এবং ভয়ও দেখানো হয় বলেও অভিযোগ তাদের। বলতে গেলে বা প্রতিবাদ করলেই পড়াশোনায় ক্ষতি করে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই অভিযোগেই তোলপাড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
জানা গিয়েছে, এই শাসকদলের ছাত্র নেতার নাম মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রনেতা হিসেবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। এই হবু ডাক্তাররা মুস্তাফিজুরের সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ছবিও দেখিয়েছেন ৷ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর শুক্রবার থেকে শুরু হয় আন্দোলন। তাঁদের দাবি প্রিন্সিপালকে জানিয়েছেন। পরে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী, মেদিনীপুর হাসপাতালে সুপার জয়ন্ত রাউত-সহ একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়।
অভিযোগ তাঁদের দাবি মানতে অস্বীকার করার জেরে এরপরই প্রিন্সিপালকে কয়েক ঘন্টা ধরে ঘেরাও করে রাখেন চিকিৎসকরা। এরপর সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে এই ছাত্র নেতার ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ৷ এরই পাশাপাশি এই হবু ডাক্তাররা এক ও একাধিক অভিযোগ উগরে দেন এই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। যদিও এদিন এই বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি ছাত্র নেতা মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ৷