ভীমপুর (নদিয়া), 3 নভেম্বর: প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ! তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় আরেক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা এবং বন্দুক হাতে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম হিরণ বিশ্বাস ৷
আক্রান্ত কর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, এরপর তাঁর বাড়ির সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হন হিরণ ৷ তিনি স্থানীয় এক নেতার ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের দাবি ৷ এই অবস্থায় আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সুজিত বাগ ৷ ঘটনাটি নদিয়ার ভীমপুর থানার আসাননগর পঞ্চায়েতের নাইকুড়া বাজারের ৷
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুজিত বাগের অভিযোগ, বাজারে করতে গেলে পুরনো বিবাদের জেরে তাঁকে হিরণ বিশ্বাস-সহ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করেন ৷ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন ৷ প্রতিবেশীরা সুজিত বাগকে স্থানীয় আসাননগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান ৷ পরে ভীমপুর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সুজিত বাগের বাড়ির সামনে হিরণ বিশ্বাস আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিতে থাকেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন ৷ প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ হেন আচরণ দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ সুজিত বাগ আতঙ্কিত হয়ে ফের নতুন করেন অভিযোগ দায়ের করে ভীমপুর থানায় ৷ পাশাপাশি তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাস করছেন ।
তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর এক নম্বর পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি সাধন বিশ্বাস দাবি করেন, হিরণ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কনক বিশ্বাসের মদতেই এমন কাজ করার সাহস পান ৷ তবে দল যে এই ধরনের কাজ সমর্থন করে না সে কথাও জানিয়েছেন সাধন ৷ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কনক বিশ্বাস বলেন, "প্রশাসনের কাজ প্রশাসন করবে ৷ তৃণমূলের দুষ্কৃতীর কোনও জায়গা নেই ৷" এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা আনন্দ বিশ্বাস বলেন, "এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি ৷ শাসক দল মদত দেয় বলে পুলিশ-প্রশাসনও এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে না ৷"