তেহট্ট, 17 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে ৷ শুক্রবার রাতে নদিয়ার তেহট্টে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলকর্মী গোপাল সরকার ৷ স্বভাবতই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ এই ঘটনায় গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে ৷
ঘটনাটি নদীয়ার তেহট্ট থানার দেবনাথপুর কলোনি এলাকার ৷ তিনি পেশায় কৃষক ৷ গোপাল সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায় ৷ দুটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি তাঁর ডান হাত ফুটো হয়ে বেরিয়ে যায় ৷
আহত গোপাল সরকারের আত্মীয় যুগল রায় বলেন, "গোপাল সরকার রসুন পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় সিপিএমের 10-15 জন ওঁকে আক্রমণ করে ৷ প্রথমে মাথায় দু-তিন বার মেরেছে ৷ তারপর মেরে ফেলার জন্যেই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ তবে আমরা জানতে পেরে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি ৷"
ফি বছরের মতো এ বছরও গোপাল সরকার তাঁর জমিতে রসুন চাষ করেছিলেন ৷ তাঁর এক জামাইকে নিয়ে অন্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও জমি পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন ৷ ঠিক তখনই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ফেলে ৷ প্রথমে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকে ৷ এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে হঠাৎ আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর তিনটি গুলি চালায় ৷
তখন চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ৷ প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় গোপাল সরকারকে তাঁর পরিবার এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপাল সরকারকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ বাকিরা পলাতক ৷
আরও পড়ুন: