কুলপি, 9 ডিসেম্বর: তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ 24 পরগনার কুলপিতে। মৃত ওই পঞ্চায়েত সদস্য নুরুদ্দিন হালদার কুলপির দৌলতপুরের বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা-আটটা নাগাদ নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে তিন চার মিনিট দূরে রাস্তার উপরেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ৷ এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে সারা শরীরে কোপানো হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপরেই পড়ে যান নুরুদ্দিন ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাঁকে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি তৃণমূল।
ঘটনা প্রসঙ্গে, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার জানান, সম্প্রতি নুরুউদ্দিন গ্রামের কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই এই খুন কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ বিষয়ে ছামনা মুনি অঞ্চলের বুথ সভাপতি কুতুবউদ্দিন পাইক বলেন, "সম্প্রতি নুরউদ্দিন বিধায়কের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলছিলেন। বিধায়কের কথা না শোনায় বিধায়কের অনুগামীরা নুরুউদ্দিনকে নৃশংসভাবে খুন করে। আমার চাই পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে এই খুনের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।"