কলকাতা, 16 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমছে রাজনৈতিক দলগুলো। দোষীদের শাস্তি এবং নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে পথে নেমেছে আমজনতা ৷ এই আবহেই শুক্রবার পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে হাঁটবেন তিনিও। তার আগে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল নেত্রীর মিছিলের বিষয়ে জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়ান ৷ জানালেন কী দাবিতে এই মিছিল হবে ৷
It is hard to conceive of a more bestial, heinous crime than the murder and rape of a young woman that took place in Kolkata. The public outrage is entirely understandable. Thoughts and prayers with her family.
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) August 16, 2024
“Why is @MamataOfficial leading a rally on the RG Kar Hospital…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব দেশের প্রায় সবকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তদন্ত করছে সিবিআই ৷ এর মাঝেই ভাঙচুর চালানো হয় আরজি কর হাসপাতালে ৷ সব মিলিয়ে নিশানায় উঠে এসেছে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা ৷ তৃণমূলের দিকেও আঙুল উঠেছে ৷ এর মাঝেই শুক্রবার মামলার দ্রুত বিচার এবং সব দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পথে নামছে তৃণমূল ৷ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তার আগে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ডেরেক লিখেছেন, "কলকাতায় এক তরুণীকে হত্যা ও ধর্ষণের চেয়ে জঘন্য অপরাধ কল্পনা করাও কঠিন। জনগণের ক্ষোভ সম্পূর্ণরূপে বোধগম্য। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় এক সমাবেশের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
এরপরই এই মিছিলের কারণ ব্যাখ্য়া করে ডেরেক বলেন, "সিবিআই যে মামলার তদন্ত করছে, তাদের অবশ্যই তদন্তের প্রতিদিনের আপডেট দিতে হবে ৷ কলকাতা পুলিশকে তদন্ত শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা ছিল 17 অগস্ট অর্থাৎ রবিবার। সিবিআই-এর ক্ষেত্রেও সেই সময়সীমা প্রযোজ্য হবে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ন্যায়বিচার তখনই হবে যখন সিবিআই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করবে ৷ পাশাপাশি মামলাটি দ্রুত বিচারের জন্য আদালতে তুলবে ৷ সিবিআই মামলাটি হাতে নিয়েছে কিন্তু এটিকে যেন চুপচাপ কবর দেওয়া না হয় ৷"
এরই সঙ্গে আরজি করের ঘটনা নিয়ে ডেরেক আরও লিখেছেন, "সময়ের জরুরি প্রয়োজন দ্রুত বিচার ৷ দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক ৷ যারা এই বর্বর কাজ করেছে তাঁদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না ৷ যারা হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা দরকার ৷ পুলিশ 19 জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ।"