খানাকুল, 17 অগস্ট: বিজেপি পরিচালতি পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানদের জুতো দিয়ে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ৷ তাও আবার পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ভিতরে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুল-1 নম্বর ব্লকের, খানাকুল-1 পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ৷ অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ত্রিপল আনতে গেলে, খানাকুল 2 এবং রামমোহন 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির মহিলা প্রধানদের মারধর করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতি ৷
শুক্রবার সকালে খানাকুল 2 গ্রাম পঞ্চায়েত এবং রামমোহন 1 পঞ্চায়েতের দুই মহিলা প্রধান সরকারি তালিকা অনুযায়ী ত্রিপল আনতে খানাকুল-1 পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে যান ৷ সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যরাও ছিলেন ৷ অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ত্রিপল নিতে ঢুকলে তাঁদের বাধা দেন দীপেন মাইতি এবং তাঁর দলবল ৷ ত্রিপল যে ঘরে রাখা ছিল, সেখানে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ বরং জুতো দিয়ে দুই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর করেন দীপেন মাইতি ৷ সঙ্গে আরও একজন ব্যক্তি ছিলেন ৷ ওই ব্যক্তি স্থানীয় কেউ নন বলে অভিযোগ করেছেন খানাকুল 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের আক্রান্ত প্রধান ৷
এই ঘটনার পরেই বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয় দীপেন মাইতি এবং তাঁর লোকজনের ৷ ক্ষণিকের মধ্যে সরকারি দফতর সংলগ্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ খবর পেয়ে খানাকুল থানার পুলিশ ও ব়্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৷ পুলিশ দু’পক্ষকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ দলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানদের মারধরের খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে পৌঁছান বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব ৷
এই ঘটনায় খানাকুলের বিধায়াক সুশান্ত ঘোষ ব্লক তথা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ৷ আক্রান্ত বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ করেছেন, "তৃণমূলের তরফে দীর্ঘদিন ধরে খানাকুল-1 ব্লকে গরিব মানুষদের প্রাপ্য ত্রিপল চুরি করা হচ্ছে ৷ এর আগেও একাধিকবার গ্রামবাসীদের ত্রিপলের দাবি করেছিলেন ৷ কিন্তু, দীপেন মাইতি এবং তাঁর লোকজন পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ত্রিপল চুরি করে নিয়ে যায় ৷" এই ঘটনা খানাকুল 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ-সভাপতি মিন্টু পালের দাবি, অশান্তির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন ৷ তবে, তাঁর দলের ব্লক সভাপতি সরকারি অফিসে ঢুকে পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর করেছেন, এ খবর তাঁর কাছে নেই ৷