কলকাতা, 1 জুন: ভোট দিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শনিবার তিনি স্পষ্টতই জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের উপর মোহভঙ্গ হয়েছে সাধারণ মানুষের ৷
সপ্তম দফার ভোটের দিন সকালে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে সরাসরি মিত্র ইনস্টিটিউশনে আসেন অভিষেক ৷ সেখান থেকেই ভোট দেওয়ার পর তাঁর যাওয়ার কথা নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ৷ ভোট দেওয়ার পর অভিষেক বলেন, "সাধারণ মানুষকে বঞ্চনা করার ফল 4 তারিখ পাবে ৷ কেন্দ্র সরকারের উপর মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে ৷ সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে ৷ মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে !"
এদিন অভিষেক বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এত ভয় পাচ্ছেন কেন ?" প্রসঙ্গত, একই দিনে বারাণসীতে ভোট রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, এবং ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাংবাদিকদের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সপ্তম দফার এই নির্বাচনে সকলের নজর দুটি কেন্দ্রের দিকে এক বারাণসী অন্যটি ডায়মন্ড হারবার, এই নিয়ে কী বলবেন ? জবাবে অভিষেক বলেন, "আমরা দেখছি প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রে কেউ নমিনেশন দিতে চাইলে তাঁকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর যদি এতটাই আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে তিনি কেন তাঁর ছেলের বয়সী একজনকে মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাচ্ছেন ? ওটাতো প্রধানমন্ত্রীর আসন। গোটা দেশে তাঁর নামেই বিজেপি ভোট চাইছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? আপনারা ডায়মন্ড হারবার দেখুন ৷ সেখানে সিপিএম নমিনেশন দিয়েছে, বিজেপি নমিনেশন দিয়েছে, আইএসএফ নমিনেশন দিয়েছে, কোথাও কাউকে আটকানো হয়নি। এমনকী ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং এসইউসিআই ও নোমিনেশন দিয়েছে ৷ আমরা কাউকে বাধা দিইনি। আপনি যখন বলছেন, মানুষের সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে, তাহলে আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? আপনার ভয়েই বলে দিচ্ছে, মানুষের জনমত আপনার সঙ্গে নেই।"
প্রসঙ্গত এদিন শুধু প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নয় একাধিক ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক। ভোট দেওয়ার পর তাকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ 9 আসনে ভোট চলছে ৷ এই ন'টি আসনেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।" এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, "বিজেপি নেতাদের গাড়ি, অফিস, বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পর যে পুলিশ আধিকারিকেরা এই কাজ করছেন, তাদেরই সরিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কোথায় কমিশন তাদের পুরস্কৃত করবে, তার বদলে তাদের তীরস্কৃত করে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট। তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না। গত পাঁচ বছর ধরে বাংলার মানুষকে যে বঞ্চনা করা হয়েছে, তার জবাব মিলবে আগামী 4 জুন।"