ETV Bharat / state

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র খানাকুল! পঞ্চায়েত বোর্ড মিটিং ঘিরে বোমাবাজি - TMC Inner Clash - TMC INNER CLASH

Unrest in Khanakul: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংকে ঘিরে ধুন্ধুমার হুগলির খানাকুলে ৷ চলে বোমাবাজি, মাথা ফাটে পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির ৷ আরও এক মহিলা সদস্যকে চেয়ার উঁচিয়ে মারধর করা হয় ৷ আহত হন পঞ্চায়েত সমিতির আরও এক সদস্য ৷ জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ।

Unrest in Khanakul
পঞ্চায়েত বোর্ড মিটিং ঘিরে বোমাবাজি (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 15, 2024, 4:28 PM IST

Updated : Jul 15, 2024, 7:47 PM IST

আরামবাগ, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হুগলির খানাকুলে। সোমবার মিটিং চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এমনকী চলল বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের তাড়া পুলিশের।

অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংয়ে এক মহিলাকেও চেয়ার উঁচিয়ে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েতে সমিতিতে ঢুকতে গেলে বের করে দেওয়া হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতিকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে ৷

পঞ্চায়েতে সমিতি কার দখলে থাকবে, খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ন‌ইমুল হক বনাম তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল বেশ কিছুদিন আগেই। বেশ কয়েকদিন আগে খানাকুল 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পূর্ত দফতরের স্থায়ী সমিতির একাধিক সদস্য পদত্যাগ করেন। বেশ কিছু স্থায়ী সমিতির সদস্যরা পদত্যাগের পরের দিনই লিখিতভাবে পদত্যাগ প্রত্যাহারের কথা জানান। পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন, তৃণমূল নেতারা একপ্রকার তাঁদের ধমকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।

সেই কারণেই তাঁরা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে চান বলে লিখিত জানান বিডিওকে। তারপরেই আবার তাঁরা পুনরায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে জটিলতা সৃষ্টি হতে থাকে। সেই ঘটনার পর থেকেই অচলাবস্থা শুরু হয়ে যায় পঞ্চায়েত সমিতিতে। এরপরই সোমবার খানাকুল পঞ্চায়েত সমিতিতে জেনারেল মিটিং ডাকা হয়। সেই বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল ও বিজেপি সদস্যরা এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার মোড়ে জমায়েত করে তৃণমূলের দুই পক্ষের সদস্যরা। মিটিং চলাকালীন মারধরের জেরে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস ঘোষ আহত হন ৷ এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ তারপরেই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠে। জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। এলাকাজুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।

পরবর্তীতে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ, খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ন‌ইমুল হক রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ৷ পুলিশ জমায়েত সরানোর চেষ্টা করে ৷ আহত খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতি, ন‌ইমূল হকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন শম্পা মাইতি ৷

আরামবাগ, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হুগলির খানাকুলে। সোমবার মিটিং চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এমনকী চলল বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের তাড়া পুলিশের।

অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিংয়ে এক মহিলাকেও চেয়ার উঁচিয়ে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েতে সমিতিতে ঢুকতে গেলে বের করে দেওয়া হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতিকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে ৷

পঞ্চায়েতে সমিতি কার দখলে থাকবে, খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ন‌ইমুল হক বনাম তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল বেশ কিছুদিন আগেই। বেশ কয়েকদিন আগে খানাকুল 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পূর্ত দফতরের স্থায়ী সমিতির একাধিক সদস্য পদত্যাগ করেন। বেশ কিছু স্থায়ী সমিতির সদস্যরা পদত্যাগের পরের দিনই লিখিতভাবে পদত্যাগ প্রত্যাহারের কথা জানান। পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন, তৃণমূল নেতারা একপ্রকার তাঁদের ধমকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।

সেই কারণেই তাঁরা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে চান বলে লিখিত জানান বিডিওকে। তারপরেই আবার তাঁরা পুনরায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে জটিলতা সৃষ্টি হতে থাকে। সেই ঘটনার পর থেকেই অচলাবস্থা শুরু হয়ে যায় পঞ্চায়েত সমিতিতে। এরপরই সোমবার খানাকুল পঞ্চায়েত সমিতিতে জেনারেল মিটিং ডাকা হয়। সেই বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল ও বিজেপি সদস্যরা এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার মোড়ে জমায়েত করে তৃণমূলের দুই পক্ষের সদস্যরা। মিটিং চলাকালীন মারধরের জেরে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস ঘোষ আহত হন ৷ এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ তারপরেই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠে। জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। এলাকাজুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।

পরবর্তীতে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ, খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ন‌ইমুল হক রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ৷ পুলিশ জমায়েত সরানোর চেষ্টা করে ৷ আহত খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতি, ন‌ইমূল হকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন শম্পা মাইতি ৷

Last Updated : Jul 15, 2024, 7:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.