কলকাতা, 6 এপ্রিল: রাজভবন ও রাজ্যের সঙ্গে শিক্ষা দফতরকে কেন্দ্র করে সংঘাত যেন থামতে চাইছে না। একের পর এক ঘটনা সংবাদের শিরোনামে। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল। তারপর যত সময় গড়িয়েছে একের পর এক ঘটনাক্রম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ছিল রাজভবনের তরফে সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ।
কোনও সন্দেহ নেই এই ঘটনাক্রমের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজভবনের শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণের সুপারিশ। আর এই নিয়েই চড়েছে ভোটআবহে রাজ্য-রাজনীতির উত্তাপ। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূল তাদের মতো করে এক বক্তব্য তুলে ধরেছে। আর এইসব নিয়েই চলছে রাজ্য রাজনীতি। এদিন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁকে কড়া সমালোচনা করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
- শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন এ প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা তো বারবার বলছি রাজ্যপাল আর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান নেই। রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্রে পরিণত হয়ে রাজভবনকে বিজেপির সদর দফতরে পরিণত করেছেন। বিজেপির তল্পিবাহক হয়ে প্রথা বহির্ভূত কাজ করছেন। বিজেপিকে খুশি করার জন্য একের পর এক যে সমস্ত কাজ করছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।"
- এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তিনি বলেন, "সব সময় রাজভবন আর সরকারের মধ্যে কুস্তি হচ্ছে। ভোট আসলে এই কুস্তি আরও বেড়ে যায়। পরে আবার তারা একট্টা হয়ে যায়। আসলে রাজ্যপাল হোক আর শিক্ষামন্ত্রী, সুতোটা এক জায়গায় বাঁধা আছে। আর তা আরএসএসের কাছে। মানুষের হকের কথা না-বলে তাঁদের ইস্যু থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই নাটক চলছে।"
- সিপিএমের অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এটা রাজ্যপালের এক্তিয়ারের মধ্যে পরে বলে শুনিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যপাল তো নিজের চোখে দেখেছেন কীভাবে ভোট লুট হয়েছে। কোনও অ্যাকশন তো তাঁকে নিতে দেখিনি।
- রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ার নেই মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে বলা, তুমি সরে যাও।
- এই গোটা পর্ব নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "রাজ্যপালকে ঘটা করে হাতে খড়ি দিলেন ৷ অ-আ-ক-খ শেখালেন। আজ তাঁর সঙ্গেই ঝগড়া হচ্ছে। আপনারা এমন লোক যে কোনও ভদ্রলোক আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারে না। একবার হাতেপায়ে ধরে সেটিং করবেন তারপর আবার ঝগড়া করবেন।
আরও পড়ুন: