কলকাতা, 30 অক্টোবর: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র-সহ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ৷ কংগ্রেস প্রার্থীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের পূজাবকাশকালীন সিঙ্গল বেঞ্চ এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনকে আগামী 4 নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে । সিতাই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়নপত্র বাতিল করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ ।
মামলাকারীর বক্তব্য, কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় জাতিগত শংসাপত্র দিয়েছিলেন কিনা জানতে চাওয়া হলেও পর্যবেক্ষকরা তা দেখাতে রাজি হননি । এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সঙ্গীতা । হলফনামায় লিখেছিলেন স্বামীর নাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া লিখেছিলেন। যিনি বর্তমানে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের প্রয়াত বাবার নাম উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি সঙ্গীতা রায়ের বাবাও সংরক্ষিত শ্রেণির মধ্যে পড়েন না। সম্পূর্ণ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর মনোনয়নপত্র খারিজ করা হোক ।
কংগ্রেস প্রার্থীর তরফে আইনজীবী সারোয়ার জাহান ও অনিন্দ্য ঘোষের বক্তব্য, "সঙ্গীতা রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সময় একরকম হলফনামা দিয়েছেন ।আবার আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে আর একরকম হলফনামা দিয়েছেন। এটা কী করে হয় ? জন্মসূত্রে সঙ্গীতা রায় তপশিলি জাতি নন । আসন্ন উপনির্বাচনে তিনি যে হলফনামা দিয়েছেন সেখানে নিজের স্বামী বা স্ত্রীর পরিচয়ের কলামটা ফাঁকা রেখেছেন। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে । এহেন পরিস্থিতিতে এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেছেন ।