চন্দননগর, 5 ডিসেম্বর: বাড়িতে একা থাকার সময় মৃত্যু হয় এক শিশুর। নাম নিখিল বিশ্বাস (6)। বাড়ি চন্দননগর 4 নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডুঘাট এলাকায়। আর সেই শিশুর মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য ৷
বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতে একাই ছিল শিশুটি। বাবা, মা, দিদি কেউই ছিল না বাড়িতে। সন্ধ্যার সময় দিদি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দেখে বিছানায় শুয়ে ছিল শিশুটি। ডাকাডাকি করলেও না উঠলে শিশুটিকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বুধবারের এই ঘটনার পর শিশুর পরিবার কিছু না বললেও বৃহস্পতিবার সকালে তারা দাবি করে, তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। 40 হাজার টাকা ও গয়না ডাকাতি করে শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে খুন করেছে। চন্দননগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে পরিবারের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই পুরো ঘটনাটি পরিষ্কার হবে।
চন্দননগর কুণ্ডু ঘাট এলাকার বাসিন্দা নবকুমার বিশ্বাস। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাম্প অপারেটর। বুধবার দুপরে মা তনুশ্রী বিশ্বাস ছেলে নিখিলকে বাড়িতে রেখে বাইরে বেরিয়েছিলেন। দিদি স্কুলে গিয়েছিল। বিকেল সারে পাঁচটা নাগাদ দিদি বাড়ি ফিরে দেখে ভাই নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে। এরপর বাবা নবকুমারকে ফোন করে খবর দেওয়া হয় ৷ রাত আটটা নাগাদ ছেলেকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানেই চিকিৎসক জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে শিশুর। এদিন সকালে দেহের ময়নাতদন্তে হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ফের পরিবার জানায় তাদের বাড়ি থেকে আলমারি খুলে 40 হাজার টাকা ও গয়না খোয়া গিয়েছে। মৃত শিশুর বাবা নবকুমার বিশ্বাস দাবি করে বলেন, "এদিন সকালে আলমারি খুলতে গিয়ে দেখি চাবি ঝুলছে। লকারে 40 হাজার টাকা, কিছু গয়না ছিল। ছেলে বাড়িতে টিভি দেখছিল। সেই সময় কেউ বাড়িতে ঢোকে। তারাই ডাকাতি করে ছেলেকে খুন করেছে।" শিশুটির মা তনুশ্রী বিশ্বাস, "বলেন আমি সামনের দরজায় চাবি দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, বাড়ির পাশের আরও একটি দরজা ভুল করে খুলে রাখা ছিল। সেখানে থেকেই কেউ বা কারা বাড়িতে ঢুকে আমার বাড়িতে ডাকাতি করে ছেলেকে খুন করেছে।"