পাঁচমুড়া (বাঁকুড়া), 23 সেপ্টেম্বর: টেরাকোটা গ্রামের পাঁচমুড়ার মৃৎশিল্পীর হাতে আট ফুট উচ্চতার তৈরি দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিল কলকাতায়। অতীতে একাধিক শিল্পীর হাতে তৈরি টেরাকোটার দুর্গা প্রতিমা কলকাতায় পাড়ি দিলেও দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর কোনও প্রতিমা গড়ার বরাত পাননি শিল্পীরা।
মণ্ডপসজ্জার টেরাকোটার জিনিসপত্র রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দিয়েছিল ৷ কিন্তু বেশকিছু বছর ধরে দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পাচ্ছিলেন না শিল্পীরা। তবে এই বছরে ফের টেরাকোটা গ্রামে বরাত আসাতে খুশি টেরাকোটা শিল্পীরা।
মৃৎশিল্পীদের শিল্পসত্ত্বা
দীর্ঘ একমাস ধরে শিল্পী স্বয়ং ও আরও শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কাটিয়ে সম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সক্ষম হয়েছেন শিল্পীরা। মাটি গুলে একধরনের রং দিয়ে এবং আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় এই প্রতিমা। 8 ফুট উচ্চতার এই টেরাকোটার দুর্গা প্রতিমা যে নজর কাড়বে সবার তা এক প্রকার নিশ্চিত, বলছেন মৃৎশিল্পীরা ৷
মৃৎশিল্পীরা কী বলছেন ?
কলকাতার কোনও মণ্ডপে স্থান পাবে সে বিষয়ে শিল্পী নাম না-বলতে পারলেও, তবে তা তিলোত্তমা এজেন্সি থেকে প্রতিমা বরাত পেয়েছেন তা নিশ্চিত মৃৎশিল্পী ব্রজনাথ কুম্ভকার। তিনি বলেন, "কয়েকমাস আগে কলকাতা থেকে বেশ কয়েকজন আর্টিস্ট এসেছিলেন পাঁচমুড়ার টেরাকোটা গ্রামে কাজ দেখতে। পরে ওই আর্টিস্টরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ তাঁদের কাছ থেকে বরাত পাই এই 8 ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা তৈরির। বরাত পেয়েই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করে দিই তিন জন মিলে।"
পুজোর আগে বড় মাপের কাজ করতে পেরে তবে শিল্পী আরও জানান, আগে এই ধরনের বড় কাজের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। এতে শিল্পীর শিল্পকলা বা গুণ যেমন একদিকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। ঠিক তেমনি পুজোর আগে আর্থিকভাবে লাভবান হন শিল্পীরা ৷ অন্যদিকে, আরেক সহশিল্পী ভরত কুম্ভকার জানান, তিনি এত বড় দুর্গা প্রতিমার কাজে যুক্ত হলেন প্রথমবার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সহ বিভিন্ন বাধাকে কাটিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে পেরে তাঁরা খুশি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ আরও করতে চাই বলে জানান, ভরত কুম্ভকার।
- শোলার কাজে দেবীর সাজে সাত পুরুষ