কাঁকসা, 4 অগস্ট: অজয় নদের জল বৃদ্ধি পেলে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যন্ত্রণা বাড়ে বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষের । এবারও তার অন্যথা হল না ৷ আবারও একটি বর্ষা আসতেই ফুঁসছে অজয় । ঝাড়খণ্ডে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে সিকাটিয়া জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল । সেই জল বাড়তেই পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বীরভূমের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম একেবারেই বিচ্ছিন্ন । দু'দিন আগে কাঁকসার বিদবিহারের অজয়ের জলে মোড়াম আর মাটির সেতু গলে মিশে গিয়েছে অজয়ের জলে । দু'দিন পেরিয়েছে কিন্তু এখনও শুরু হয়নি নৌকা পরিষেবা । চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে বহু শ্রমিক থেকে পড়ুয়াদের ।
তিন বছর পেরিয়েছে ৷ সম্পূর্ণ হয়েছে অজয়ের স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ । কিন্তু সংযোগকারী রাস্তার কাজ এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুরু হয়নি যাতায়াত । কর্মসূত্রে বীরভূম থেকে বহু শ্রমিক অজয়ের অস্থায়ী সেতু পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কাজে যোগ দেন । বহু পড়ুয়াও এই রাস্তা অবলম্বন করে স্কুল কলেজে পৌঁছে যায় । এখন তাদেরও প্রায় 30 কিলোমিটার ঘুরে ইলামবাজারের সেতু দিয়ে করতে হচ্ছে যাতায়াত ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি দাস বলেন,"আমার ইলামবাজারের জয়দেবে দোকান আছে । ভেবেছিলাম নদীর অস্থায়ী সেতু ঠিকই আছে । তাই বাড়ি থেকে অস্থায়ী সেতু পেরিয়েই দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম । এসে দেখি অজয়ের অস্থায়ী সেতু ভেসে গিয়েছে অজয়ের জলে । নৌকাও চলেনি । তাই যাতায়াত একেবারেই বন্ধ । কবে নৌকা পরিষেবা শুরু হবে, কবেই বা আবার যেতে পারব ওই পারে সেই নিয়েই চিন্তিত । অজয়ের স্থায়ী সেতুতে কবে যাতায়াত শুরু হবে সেটাও জানা নেই ।"
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্যের কথায়,"আমরা ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলে যাতে তাড়াতাড়ি নৌকা চলাচল শুরু হয় সেই ব্যবস্থা করব । অজয়ের স্থায়ী সেতু এবং রাস্তার কাজ প্রায় সম্পন্ন । কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে যাতায়াত । তারপরেই এই সমস্যা থেকে একেবারেই মুক্তি পাওয়া যাবে ।"