চন্দ্রকোনা, 30 জানুয়ারি: আগামী বছর শতবর্ষ পূর্ণ করতে চলেছে স্কুল ৷ কিন্তু স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ৷ তাই শীতের সকালে একপ্রকার বাধ্য হয়েই গাছের তলায় চলছে চন্দ্রকোনার চাঁদুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুদে পড়ুয়াদের ক্লাস । বারবার শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন স্কুল ভবনের দাবি জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে ৷ তবে তাতে কোনো সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকদের । খোলা আকাশের নীচে এভাবে পঠনপাঠনে ভোগান্তির শিকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা । বর্ষাকালে এই ভোগান্তি পৌঁছয় চরমে ৷
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-1 নম্বর ব্লকের মনোহরপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের । জানা গিয়েছে, 1925 সালে স্থাপিত এই স্কুল । বর্তমানে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা পাঁচ । আর ছাত্রছাত্রী প্রি প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট 200 জন । চাঁদুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ছোটো আকারের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস রুম । তবে ওই তিনটি শ্রেণিকক্ষেরই বেহাল অবস্থা ৷ কক্ষের ভিতরে কোথাও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে ৷ আবার কোথাও ছাদের অংশ খসে পড়েছে ।
অন্যদিকে স্কুল ভবনের পিছনের দিকের দেওয়াল থেকে মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে । যার ফলে এই দেওয়াল যাতে হেলে না পড়ে তার জন্য পিলার দিয়ে ঠেকানো রয়েছে । যদিও পরিকাঠামোর এমন ভগ্নদশা সত্ত্বেও রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ছোটছোট ছেলেমেয়েদের পঠনপাঠন চলছে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও বাইরে । প্রধান শিক্ষক অমরজিৎ খান বলেন, "এই স্কুলে তিনটি শ্রেণিকক্ষে তিনটি ক্লাস নেওয়া হয় ৷ বাকি দুটির স্কুল চত্বরেই খোলা আকাশের নীচে গাছের তলায় ত্রিপল পেতে ক্লাস চলে ।" স্থানীয়দের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভেন্স সেলেও অভিযোগ করা হয়েছে ৷ তাতেও কোনো সদুত্তর মেলেনি ।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-1 সার্কলের স্কুল পরিদর্শক কৌশিক ঘোষ অবশ্য বলেন, "চাঁদুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবারে হঠাৎ করে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে । কারণ নিকটবর্তী একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ যার ফলে ওই কেন্দ্র থেকে 50-60 জন অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রীর চাপ এই প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বহন করতে হচ্ছে । ফলে শ্রেণিকক্ষের বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এখন । আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে ।"
আরও পড়ুন: