চুঁচুড়া, উত্তরপাড়া, 24 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করায় হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজ করেছে শিক্ষা দফতর। এবার হুগলির দুটি স্কুল আরজি করে নির্যাতিতার বিচারের জন্য মিছিল করল ৷ শনিবার স্কুল ছুটির পর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকরা আন্দোলনে শুরু করে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন চুঁচুড়ার হুগলি গার্লস হাইস্কুল ও উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বয়েজ স্কুলের এই মিছিল হয়। সকলের একটাই দাবি ধর্ষকদের অবিলম্বে শাস্তির দিতে হবে।
চুঁচুড়ার হুগলি গার্লস হাইস্কুলের প্রাক্তনী বর্তমান ছাত্রীরা মিলে স্কুলের সামনে থেকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পদযাত্রা করে। পিপুলপাতি মোরে বিবেকানন্দ মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর মিছিল হয়। প্রতীকী রাস্তা অবরোধও করা হয়। আরজি করের প্রতিবাদে রাস্তায় নামায় হাওড়ার তিন স্কুলকে ইতিমধ্যেই শো-কজ করার প্রতিবাদও করেন বিক্ষোভকারীরা ৷ হুগলি গার্লস-এর শিক্ষিকা কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিউলি বড়াল বলেন, "শাস্তি চাই দোষীদের। এই নির্যাতন বন্ধ হোক। আমরা আমাদের সন্তানসম ছাত্রীদের সঙ্গে স্কুল ছুটির পর এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। একজন শিক্ষক হিসাবে বলতে পারি এই প্রতিবাদ প্রত্যেকটা মেয়ের, প্রত্যেকটা মায়ের করা উচিত। ধর্ষক যাতে অপরাধ করার আগে দশবার ভাবে। এই প্রতিবাদে আমরা যদি ছাত্রীদের পাশে না থাকি সেটা অধর্ম করা হবে।"
উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্র শিক্ষক, অভিভাবকরাও এদিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। রাজা প্যারিমোহন সরনী ও জয় কৃষ্ণ সরনী-সহ বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করা হয়। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকরা একসঙ্গে পথে নেমেছিলেন এদিন। সবার গলাতেই একই স্বর, "জাস্টিস ফর আরজি কর।" বিচারের দাবিতে এই ধরনের মিছিল এর আগে কখনও দেখেনি উত্তরপাড়া এমনটাই দাবি। স্কুলের টিচার ইনচার্জ জানান, স্কুল ছুটির পর মিছিল সংঘটিত করা হয়েছে। কোনও ছাত্র বা শিক্ষককে জোর করে রাস্তায় নামাতে হয়নি তাদের। তারা নিজেরাই এই দাবিকে নিজেদের দাবি হিসেবে মেনে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
এক শিক্ষক সব্যসাচী প্রামাণিক বলেন, "ছাত্রদের সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে তৈরি করা, একজন শিক্ষক হিসাবে ছাত্রদের সচেতন করাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। পরিস্থিতি সর্বচ্চ জায়গা পৌঁছে বলেই মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আজকে অনাচার দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে তাই এতো প্রতিবাদ। আমরা স্কুলের ছুটির পর রাস্তায় নেমেছে ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকরা।"