কলকাতা, 22 জুন: অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনও বন্ধ হয়ে আছে অ্যাক্রোপোলিশ মল। বন্ধ মলের একাংশে থাকা একাধিক অফিস। সেই অফিসগুলি খোলার জন্য এবার দমকলের সঙ্গে আলোচনা করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম। দ্রুত অফিসগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে ফের চালু করার নির্দেশ দিতে পারে বলেই জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
14 জুন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার অ্যাক্রোপলিস মলে ৷ তারপর থেকেই বন্ধ গোটা বহুতলটি। বন্ধ এই মলের উপরের অংশে থাকা একাধিক অফিসও ৷ মলের অংশে কী গাফিলতি ছিল কেন আগুন লাগল, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ছিল, ফায়ার এক্সিট ঠিকঠাক ছিল কি না, এই সমস্তটা নিয়েই তদন্ত করছে দমকল ৷ তাই গোটা বহুতল এখন দমকলের নির্দেশে বন্ধ আছে। এর জেরে শুধু মল নয় মলের পিছনের অংশে থাকা একাধিক অফিসও বন্ধ ৷ এবার সেই অফিসগুলি খোলার জন্য উদ্যোগী হচ্ছেন কলকাতার মেয়র ৷
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমি দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। রেস্তোরাঁর অংশ বাদ রেখে বাকি দোকান, অফিস চত্বর যাতে খুলে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে কথা হয়েছে।" সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতায় কসবার এই মলে তিন তলায় থাকা একটি দোকানে আগুন লাগে। সেখান থেকে মুহূর্তে উপর তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। কাচ দিয়ে ঘেরা মলের দেওয়াল কাচ ভেঙে ধোঁয়া বের করেন দমকল কর্মীরা। হাইড্রোলিক ল্যাডার এনে আগুন নেভানোর কাজ করেন। তবে আপৎকালীন সিঁড়ি ফাঁকা না থাকার অভিযোগ তোলেন ভিতরে আটকে পড়া মানুষজন। এরপর দমকল এই ঘটনার তদন্তে নামে।
কলকাতা পৌরনিগমের তরফে দমকলের কাছে আবেদন করা হয়েছিল রেস্তোরাঁ বা বাণিজ্যিক ভবনে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে খুঁটিয়ে নিরাপত্তা দেখে নেওয়া হয়। তাতে সময় লাগলে লাগুক। তবে অফিস খোলার কথা বলা হলেও মল সম্পূর্ণভাবে কবে খুলবে, তার দিকে চেয়ে আছেন কর্মীরা।
এছাড়াও এদিন পৌরনিগমের বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে, সমস্ত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র এবং অন্যান্য দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কর্পোরেশনের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ সমাধান কিছু জায়গায় যেখানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, তা সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে ৷"