কলকাতা, 8 মার্চ: "আমার কাছে বহু তৃণমূল বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির, জেলা পরিষদ, পৌরসভার সদস্য লাইন দিয়ে আছে ৷ তবে আমরা স্পষ্ট করছি, পচা আলু আমরা নেব না", সাফ বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এরপর এদিন দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠকে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ জানান, এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও বিধায়ককে বিজেপিতে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
তাপস রায়ের তৃণমূল ছেড়ে আসা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "একজন বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা, তিনি তৃণমূল ছেড়ে দিলেন ৷ যাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রায় 50 বছর ৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমসাময়িক ৷ তিনি কংগ্রেস করেছেন ৷ যখন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একসময় তৃণমূলে প্রতিটি ইট গড়ার কাজে ছিলেন, তাঁরা যখন তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছে, তখন আমাদের কেন, সবাইকে ভাবতে হবে যে, তৃণমূলের শারীরিক অবস্থা মোটেই ভালো নয় ৷ শুধু প্রশাসনের জেরে পার্টিটা টিকে আছে, সরকারটা টিকে আছে ৷ 24 সাল পার হোক, ফু দিলে যেমন তাসের ঘর ভেঙে পড়ে ৷ তেমনই তৃণমূলও ভেঙে পড়বে ৷"
প্রাক্তন বিচারপতির রাজনৈতিক অলিন্দে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন ৷ এই নিয়ে রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে এই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের পর রাজ্য সভাপতি জানান, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ইলেক্টোরাল পলিটিক্স এর পাশাপাশি গেরুয়া রাজনীতির সমস্ত ক্ষেত্রে 'ব্যবহার' করা হবে ৷
তৃণমূলের অনেক নেতাই বিজেপিতে যোগ দিতে চান, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তৃণমূলের সব স্তরের নেতারা লাইন দিয়ে রয়েছেন ৷ কিন্তু পচা আলু নেব না ৷ বাংলার মহিলারা সন্দেশখালির ঘটনা দেখার পর তৃণমূলকে আর ভোট দেবে না ৷ যদি কোনও মহিলা ভোট দেয়, তবে একবার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করা উচিত ৷"
বিরোধীরা বলছে তৃণমূলের কর্মসূচিই বিজেপি কপি পেস্ট করছে ৷ এই বিষয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, "অপরিপক্বের মতো কথা বলছেন ৷ বিজেপির বিকশিত ভারত ভ্যান আগেও ছিল ৷ এবার শুধুমাত্র একটা নাম দেওয়া হয়েছে ৷ বিজেপি তৃণমূলকে নকল করলে বিজেপি শাসিত দেশেও সন্দেশখালি হত, শেখ শাহজাহান হত ৷"
আরও পড়ুন: