কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: এবার থ্রেট কালচারের অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ । বুধবার তাঁরা প্রভাবশালী অধ্যাপক সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়কে গাঁদা ফুলের মালা পরানোর চেষ্টা করেন এবং ওআরএস উপহার দেন ৷ কারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবি, ক্লাসের দিন দেখাই যায় না অধ্যাপককে ৷ তিনি নিশ্চয়ই অসুস্থ, তাই তাঁর ওআরএস প্রয়োজন বলে কটাক্ষ করেন ছাত্রছাত্রীরা ৷ তবে এই প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে জুটা ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সিন্ডিকেট চালান ওই অধ্যাপক । এর সঙ্গে নম্বর হেরফের করারও অভিযোগ করা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে । এমনকি ছাত্রছাত্রীদের ধমকানোর অভিযোগও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা ।
বুধবার অধ্যাপক সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায় যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের বিভাগে আসেন, তখন তাঁকে দেখে গাঁদা ফুলের মালা পরাতে যান আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা । এর পাশাপাশি তাঁরা নিয়ে যান ওআরএস । হতবাক হয়ে ছাত্রছাত্রীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন অধ্যাপক ৷ এরপর সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা ।
এক আন্দোলনকারী বলেন, "শেষ 4টে সেমেস্টার ধরে আমাদের কিছু সহপাঠীকে বেশি নম্বর দেওয়া হত । এমনকি যখন গ্রুপ প্রজেক্ট হয় তখনও তাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে ।" যাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, তাঁরা একটি বিশেষ দলের সঙ্গে যুক্ত বলেই তাঁদের এই সুবিধে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা ।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুটার সদস্য । তাঁর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করে জুটার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, "এই পরিস্থিতি চললে শিক্ষকেরা পরীক্ষার মূল্যায়ন করা থেকে সরে আসবেন । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষককে হেনস্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সম্পর্কের ঐতিহ্যের পরিপন্থী । মুষ্টিমেয় ছাত্রছাত্রী সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা, ভয় প্রদর্শন-সহ যে ধরনের অপরাধমূলক ভাষা ব্যবহার করছেন, সেটাই থ্রেট কালচারকে প্রোমোট করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করে ।"