সোদপুর, 5 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে টাকার 'অফার' দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা । এই ঘটনায় অভিযোগের তির কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থের দিকে । সেই ঘটনায় যখন শোরগোল রাজ্য রাজনীতি তখন পালটা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের একটি ভিডিয়ো সামনে এনে সেই অভিযোগ খন্ডন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিশ । তৃণমূলও সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে । এবার সেই ভিডিয়ো নিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন নির্যাতিতার পরিবার ।
এই বিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর কাকিমা বলেন,"ভিডিয়োটি পরিবারকে চাপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে । পুলিশই এসব করেছে । বাধ্য হয়েই পুলিশের কথা মতো ভিডিয়োতে এসব বলতে হয়েছে পরিবারকে । পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্র করেই ভিডিয়োটি ভাইরাল করা হয়েছে । আগেও বলেছি, এখনও বলছি টাকার বান্ডিল নিয়ে আসা হয়েছিল পরিবারকে দেওয়ার জন্য ।"
আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসক ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার রাত দখল কর্মসূচিতে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা-মা । ছিলেন নির্যাতিতার কাকা-কাকিমাও । সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি নর্থের টাকার 'অফার' দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর বাবা-মা । এমনকি, চাপ দিয়ে সাদা কাগজে পুলিশ সই করিয়েছিল বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাঁরা । যদিও বৃহস্পতিবার সেই ভিডিয়োর ব্যাখা দেন নির্যাতিতা ছাত্রীর কাকিমা । তিনি এদিন তারিখ ধরে কোন সময়ে ভিডিয়োটি তৈরি করা হয়েছিল, তা তুলে ধরেন সংবাদমাধ্যমের সামনে । তাঁর কথায়,"ভিডিয়োটি 11 অগস্ট রাত এগারোটার পরে তৈরি করা হয়েছে । একজন ভিডিয়োগ্রাফার এসে নির্যাতিতার বাবা-মাকে বলে, পুলিশের কথা মতো না চললে কেসের সমস্যা হতে পারে ! চাপ দিয়ে জোর করে পরিবারকে বাধ্য করা হয়েছে পুলিশের শিখিয়ে দেওয়া বুলি বলতে ।"
নির্যাতিতার কাকিমা আরও বলেন,"ঘটনার দিন অর্থাৎ 9 অগস্ট বাড়িতে এসে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয় বাবা-মা'কে । পুলিশের একজন এসেছিল সিভিল ড্রেসে ।" কত টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে খোলসা করে কিছু না বললেও কয়েকটি টাকার বান্ডিল ওই পুলিশকর্তা নিয়ে এসেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি ।
এদিকে, নৃশংস এই হত্যা-কাণ্ডে এখনও যাঁরা নীরব রয়েছেন । তাঁদের এগিয়ে এসে মুখ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর কাকিমা । তাঁর কথায়, "হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্ট-সহ অনেকেই তো ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন । তাই, মায়ের অনুরোধ যদি কেউ কিছু জেনে থাকেন তিনি যেন সব তথ্য প্রকাশ্যে আনেন । তাতে দুষ্কৃতীদেরও একটা বার্তা দেওয়া যাবে । তা নিয়েই তিনি চিঠি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে ।"