কালিম্পং, 1 ডিসেম্বর: রংপোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত । মৃতদের পরিবারকে দু'লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে । রবিবার ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের পর একথা জানালেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমনিয়াম টি ।
পাশাপাশি এ দিন উদ্ধারকাজও খতিয়ে দেখেন তিনি । জেলাশাসক বলেন, "ওই ঘটনাস্থলে আগামীতে যাতে আর কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । সোমবার দুর্ঘটনাস্থল এলাকা ও জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পরিবহণ বিভাগ এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ।"
শনিবার শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকগামী একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস রংপোর কাছে ভোটেভিড়ে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে । নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি তিস্তা নদীর পারে খাদে পড়ে যায় ৷ মৃত্যু হয় সাত জনের । পাশাপাশি আহত 16 জন । দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে নামে সিংথাম, কালিম্পং, রংপো থানার পুলিশ, দমকল বিভাগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল । আহত ও নিহত যাত্রীদের উদ্ধারের পর রবিবার দুর্ঘটনার কবলে পরা বাসটিকে উদ্ধার করা হয় ।
এ দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক বালাসুব্রমনিয়াম টি । বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের সাত জনের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন ৷ মৃতরা হলেন, কলকাতার বেলগাছিয়ার বাসিন্দা ইকবাল হাসান ৷ গোপাল জে প্রসাদ, গ্যাংটকের দেওরালির বাসিন্দা ৷ অজয় তামাং, বাড়ি সামসিং ৷ বর্তমানে গরুবাথানের বাসিন্দা ৷ সিকিমের রংপোর বাসিন্দা ঝুলু কুমারী এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সিং। জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুজিৎ দাস ও বিহারের কিশানগঞ্জের বাসিন্দা জমিরুদ্দিন আনসারি ।
এদের প্রত্যেকের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দু'লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । বাকি আহত 16 জনের মধ্যে চারজন মহিলা ৷ ইকবাল হোসেনের দেহ জেলা প্রশাসনের তরফে বেলগাছিয়ায় তাঁর বাড়িতে পাঠানোর সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক । বাকি ছ'টি দেহও তাঁদের বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে । শুধু মাত্র ইন্দ্রজিৎ সিংহের পরিবারের সদস্যরা মেঘালয়ে থাকায় তাঁদের ফেরার অপেক্ষা করা হচ্ছে ।