কলকাতা, 15 এপ্রিল: ফের নজরে মিড-ডে-মিল। কতটা সফলভাবে রূপায়ণ করা হচ্ছে মিড-ডে-মিল তথা পিএম পোষণ প্রকল্প তা খতিয়ে দেখতে বেশ কিছু মূল্যায়নের ভাবনা। সেই মূল্যায়নের উপর র্যাঙ্কিং করা হবে রাজ্যের স্কুলগুলির। মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকেও (এমএসকে)। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্য স্তর থেকে মূল্যায়ন সম্পর্কে জানানো হয়েছে জেলাস্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
এই মূল্যায়ন হবে কতগুলি মানদণ্ডের ভিত্তিতে। তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। তথ্যসংগ্রহের জন্য স্কুল পরিদর্শন করবেন একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। এছাড়াও দায়িত্বে থাকবেন একজন শিক্ষাবন্ধু বা এডুকেশন সুপারভাইজার অথবা প্রতিবেশী কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষক। 15 এপ্রিল, অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হয়ে 2 মে পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়াটি । মূলত মিড-ডে-মিল সংক্রান্ত প্রায় 30টি বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে প্রতিটি স্কুল থেকে। যার মধ্যে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা থেকে শুরু করে গত মাসে কত মিড-ডে-মিল খাওয়ানো হয়েছে, চালের মান কেমন, খাদ্যসামগ্রী স্বাস্থ্যকরভাবে রাখা হয় কি না, কুক-কাম-হেল্পাররা নিয়মিত ভাতা পান কি না, ওজন মাপার যন্ত্র আছে কি না, রান্নাঘর, ডাইনিং হলের অবস্থা রয়েছে কি না এই রকম একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখা হবে ৷
অন্যদিকে, সোমবার মিড-ডে-মিলে দেওয়া হল বিশেষ খাওয়ার। নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ মেনুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে স্কুলগুলিতে। কিছু স্কুলে যেমন মেনু হিসাবে ঠিক করা হয়েছেে ফ্রায়েড রাইস, ডিম কারি, আলুর দম, মিষ্টি। আবার জেলার বেশ কিছু স্কুলে নববর্ষের মেনু হিসাবে ঠিক করা হয়েছে মাংস-ভাত। অন্যদিকে, গত বছর গরমকালে পুষ্টিকর খাওয়ার দেওয়ার জন্য বেশ কিছু অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ করা হয়েছিল মিড-ডে-মিলে। তারমধ্যে রয়েছে ফলও ৷
আরও পড়ুন
1. বৈশাখী ভূরিভোজে সামিল হবে স্কুল, মিড-ডে মিলের মেনু বেঁধে দিল স্কুল শিক্ষা দফতর
2. 'পাতুরি রাজনন্দিনী থেকে' 'বেনারসি আবার খাব'- নববর্ষের বাজারে বিপুল চাহিদা মিষ্টির
3. নাচেগানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নববর্ষ পালনে মুখ্যমন্ত্রী