ETV Bharat / state

হাসপাতালে সেফটি অডিটের দায়িত্ব প্রাক্তন ডিজি-কে, প্যানিক বাটন-সহ নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক নির্দেশ রাজ্যের - Safety and Security in Hospitals

Safety and Security in Hospitals: বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে ৷ সেই চিঠিতে তিনি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন ৷ পাশাপাশি হাসপাতালগুলির সেফটি অডিটের দায়িত্ব প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৷

Nabanna
নবান্ন (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 19, 2024, 9:17 PM IST

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের পর হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই ৷ হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রাক্তন পুলিশকর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দিল রাজ্য সরকার ৷ তিনি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত অডিট করে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবেন ৷

পাশাপাশি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে ৷ সেখানে প্যানিক বাটন থেকে মহিলা পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের মতো বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে একটি চিঠি লেখা হয় ৷ সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

উল্লেখ্য, বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ । সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচার বন্ধ করার দাবি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপের দাবি তোলা হয় ৷ তাঁরা লিখিত নিশ্চিয়তা চান এই বিষয়ে ৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফে তা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি ৷ নবান্ন থেকে আবার ধরনা মঞ্চে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা ৷

সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগে সামনে এল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে লেখা একটি চিঠি ৷ যা তিনি লিখেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে ৷ ওই চিঠির মাধ্যমে তিনি কার্যত হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

সেখানে ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিকে বিশেষভাবে সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি হাসপাতাল চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে । মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে । রাতে হাসপাতালগুলিতে স্থানীয় থানা থেকে মোবাইল টহলদারি টিম নজরদারি রাখার কথা বলা হয়েছে । এছাড়াও সেন্ট্রালাইজ হেল্পলাইন সিস্টেম রাখতে বলা হয়েছে । প্যানিক বাটন-সহ একাধিক বিষয় চালু করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এবার থেকে হাসপাতালগুলিতে কতগুলি বেড ভরতি আছে, কতগুলি খালি রয়েছে, তা ডিজিটালি ডিসপ্লে করা হবে । দালাল চক্র খতম করতে চায় রাজ্য । সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ এই বিষয়টিও চিঠিতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এগুলিকে দ্রুত লাগু করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব । নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে টাস্কফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সেখানে তা জমা দিতে বলা হয়েছে ৷

নিরাপত্তার বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি হাসপাতালগুলির সুরক্ষা আরও বৃদ্ধিতে কী কী করা যায়, সেটাও জানতে চায় রাজ্য সরকার ৷ সেই কারণে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা অডিট করার জন্য ৷ তিনি রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে থাকা ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী করা যায়, তা পর্যালোচনা করবেন ৷ তার পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট দেবেন ৷ সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রাজ্য পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ৷

কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজ্য প্রশাসন বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে পারল না, অথচ বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কীভাবে চিঠি দেওয়া হল স্বাস্থ্যসচিবকে ? প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ছিলেন না ৷ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি জেলা সফরে ছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফেরেন ৷ তার পর মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ তার পরই মুখ্যসচিব চিঠির আকারে এই নির্দেশিকা স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠান ৷

এখন দেখার এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা পরবর্তী কী পদক্ষেপ করেন !

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের পর হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই ৷ হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রাক্তন পুলিশকর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দিল রাজ্য সরকার ৷ তিনি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত অডিট করে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবেন ৷

পাশাপাশি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে ৷ সেখানে প্যানিক বাটন থেকে মহিলা পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের মতো বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে একটি চিঠি লেখা হয় ৷ সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

উল্লেখ্য, বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ । সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচার বন্ধ করার দাবি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপের দাবি তোলা হয় ৷ তাঁরা লিখিত নিশ্চিয়তা চান এই বিষয়ে ৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফে তা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি ৷ নবান্ন থেকে আবার ধরনা মঞ্চে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা ৷

সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগে সামনে এল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে লেখা একটি চিঠি ৷ যা তিনি লিখেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে ৷ ওই চিঠির মাধ্যমে তিনি কার্যত হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

সেখানে ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিকে বিশেষভাবে সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি হাসপাতাল চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে । মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে । রাতে হাসপাতালগুলিতে স্থানীয় থানা থেকে মোবাইল টহলদারি টিম নজরদারি রাখার কথা বলা হয়েছে । এছাড়াও সেন্ট্রালাইজ হেল্পলাইন সিস্টেম রাখতে বলা হয়েছে । প্যানিক বাটন-সহ একাধিক বিষয় চালু করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এবার থেকে হাসপাতালগুলিতে কতগুলি বেড ভরতি আছে, কতগুলি খালি রয়েছে, তা ডিজিটালি ডিসপ্লে করা হবে । দালাল চক্র খতম করতে চায় রাজ্য । সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ এই বিষয়টিও চিঠিতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এগুলিকে দ্রুত লাগু করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব । নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে টাস্কফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সেখানে তা জমা দিতে বলা হয়েছে ৷

নিরাপত্তার বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি হাসপাতালগুলির সুরক্ষা আরও বৃদ্ধিতে কী কী করা যায়, সেটাও জানতে চায় রাজ্য সরকার ৷ সেই কারণে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা অডিট করার জন্য ৷ তিনি রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে থাকা ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী করা যায়, তা পর্যালোচনা করবেন ৷ তার পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট দেবেন ৷ সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রাজ্য পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ৷

কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজ্য প্রশাসন বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে পারল না, অথচ বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কীভাবে চিঠি দেওয়া হল স্বাস্থ্যসচিবকে ? প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ছিলেন না ৷ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি জেলা সফরে ছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফেরেন ৷ তার পর মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ তার পরই মুখ্যসচিব চিঠির আকারে এই নির্দেশিকা স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠান ৷

এখন দেখার এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা পরবর্তী কী পদক্ষেপ করেন !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.