কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । সেই মতো মঙ্গলবার ওই পদে থাকা আধিকারিকদের সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের নয়া স্বাস্থ্য অধিকর্তা হলেন ড. স্বপন সোরেন ৷ তবে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হিসেবে এখনই কাউকে নিয়োগ করল না রাজ্য সরকার ৷ পরিবর্তে ড. সুপর্ণা দত্তকে স্বাস্থ্য-শিক্ষার ওএসডি হিসেবে নিয়োগ করা হল ৷
আরজি কর-কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তাররা যে পাঁচদফা দাবি তুলেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রদবদল ৷ তাঁরা স্বাস্থ্য সচিব থেকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার অপসারণের দাবি তুলেছিলেন ৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে হওয়া বৈঠকেও সেই দাবি তোলেন তাঁরা ৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে ৷
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছিলেন ড. দেবাশিস হালদার ৷ তাঁকে সরিয়ে ড. স্বপন সোরেনকে ওই দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য ৷ আর দেবাশিস হালদারকে জনস্বাস্থ্যের ওএসডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে স্বাস্থ্যভবন থেকেই তিনি নিজের দায়িত্বভার সামলাবেন ৷
স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ছিলেন ড. কৌস্তভ নায়েক৷ তাঁকে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর করা হয়েছে ৷ তবে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা অধিকর্তা হিসেবে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি ৷ বরং স্বাস্থ্য-শিক্ষার ওএসডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. সুপর্ণা দত্তকে ৷