ETV Bharat / state

তহবিল খরচ করলেও কল্যাণ-ভূমে কাঁটা স্বাস্থ্য-পরিযায়ী শ্রমিক - Lok Sabha Elections 2024 - LOK SABHA ELECTIONS 2024

Sreerampur MP Kalyan Banerjee: শ্রীরামপুর লোকসভায় তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তৃণমূলের প্রার্থী । নিজের এলাকায় তিনি কতটা কাজ করেছেন ? কী করতে পারেননি ? একনজরে দেখা নেব তাঁর কাজের খতিয়ান ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 12, 2024, 3:31 PM IST

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড

শ্রীরামপুর, 12 এপ্রিল: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র ৷ এই কেন্দ্রে চাঁপদানি থেকে উত্তরপাড়া ডানকুনি পর্যন্ত শহরতলি রয়েছে । অন্যদিকে চণ্ডীতলা, জঙ্গিপাড়া, হাওড়ার ডোমজুর ও জগৎবল্লভপুরের মতো গ্রামাঞ্চলও রয়েছে । শহরতলি জুড়ে রয়েছে শিল্পাঞ্চল । জুটমিল, কটনমিল ও একাধিক যন্ত্রপাতির কারখানা । কিন্তু অধিকাংশ কারখানা হয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো ধুঁকছে । শ্রীরামপুর লোকসভায় তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । এ বারেও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী । শিল্প ও কর্মসংস্থানের অভাবের কথা টেনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছেন বাম ও বিজেপি ৷ যদিও বিদায়ী সাংসদ উন্নয়নের খাতে তহবিলের প্রায় পুরোটাই খরচ করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন ৷ কিন্তু কী বলছে জনতা জনার্দন ? নজর রাখব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ডে ৷

মানুষ বলছে, তৃণমূলের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তার সম্প্রসারণের উন্নতি হয়েছে ঠিকই । কিন্ত বাড়ছে যানজট । শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার আরও উন্নতি চান স্থানীয়রা । শহরতলির অনেকাংশেই অবাঙালি মানুষের বাস । সকলেরই দাবি, শিল্প ও কর্মসংস্থান প্ৰয়োজন । এছাড়াও গ্রামের যুবকরা কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে । বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা । সেই একাধিক বিধানসভার নানা সমস্যা ও উন্নয়নের খতিয়ান দেখে নেব একনজরে ৷

শ্রীরামপুর লোকসভায় 2009 সালে বাম প্রার্থী শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকে তিনিই এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন । গতবার তাঁর প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির দেবজিৎ সরকার । বামেরা চলে যায় তৃতীয় স্থানে । এ বারে সেখানে বাম প্রার্থী হয়েছেন নতুন প্রজন্মের দীপ্সিতা ধর । কেন্দ্রীয় স্তরের যুব নেত্রী তিনি । অন্যদিকে, বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোসকে । তিনি অবশ্য গত বিধানসভা ভোটে শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়েছিলেন ৷

তিনবারের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 15 বছর ধরে শ্রীরামপুর লোকসভাজুড়ে একাধিক উন্নয়ন করেছেন । শ্রীরামপুর লোকসভা এলাকায় মোট 17 কোটি 85 লক্ষ 21 হাজার 428 টাকা তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে খরচ করেছেন । এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন । সেই কারণে স্কুল বিল্ডিং, আলো ছাড়াও পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাজ্যের হাসপাতালগুলির মান উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ।

বিশেষ বিশেষ খাতে সাংসদ তহবিল থেকে খরচের হিসাব

1. রিষড়া মাতৃসদন (রিষড়া) ব্যবহারের জন্য ইউজিজি কালার ডপলার মেশিন, খরচ 22,50,000 টাকা

2. কোভিড মোকাবিলায় জরুরি আপগ্রেডেশনের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ মহকুমা হাসপাতালে আইপিডি 3 তলা বিল্ডিংয়ের জন্য খরচ 24,98,378 টাকা
3. চাঁপদানি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ 27,85,200 টাকা
4. উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এইচডিডি সিসিইউ-এর জন্য খরচ 16,02,000 টাকা
5. জগতবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আই কেয়ার ইউনিট, ডেন্টাল ইউনিট, ল্যাবরেটরি এবং বিল্ডিং-এর জন্য খরচ 23,02,880 টাকা

6. চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ডিজিটাল রেডিয়োগ্রাফি সিস্টেম-সহ এক্সরে মেশিনের জন্য খরচ 17,00,000 টাকা

7. জাঙ্গিপাড়ায় রশিদপুরে উদয়চাঁদ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য খরচ 9,46,922 টাকা

8. রিষড়া মাতৃসদনে ডায়ালিসিস মেশিনের জন্য খরচ 15,00,000 টাকা

9. শ্রীরামপুরে ওয়ালশ হাসপাতালে গ্যাংওয়ে এসএসএইচ বিল্ডিং করতে খরচ 18,58,068 টাকা

10. রিষড়া মাতৃ সদনে আইসিইউ ভেন্টিলেটর, সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকসেসরিজ-সহ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সি-আর্ম মেশিন, অ্যানেস্থেসিয়া ওয়ার্ক স্টেশনের (ওটি) জন্য খরচ 35,00,600 টাকা

11. জগৎবল্লভপুরে শ্মশানে চুল্লির জন্য খরচ 6,50,000 টাকা

12. ডোমজুরে ঝাড়ধাধা রাজাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নির্মাণের জন্য 10,09,998 টাকা

13. ঝাড়ধাধা রাজাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেরারি নির্মাণের জন্য খরচ 10,09,998 টাকা

14. উত্তরপাড়া মহামায়া শিশু হে মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে ল্যাপরোস্কোপিক ক্যামেরা সেট এবং অপারেশন ল্যাম্পে খরচ
42,72,500 টাকা

15. হাওড়ার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নারী দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য খরচ 12,50,190 টাকা

16. ডানকুনিতে এক্সরে মেশিনের জন্য খরচ 18,00,000 টাকা

17. রঘুনাথপুর নাফর অ্যাকাডেমি ও নিশ্চিন্দা বালিকা বিদ্যাপীঠের অতিরিক্ত ক্লাসরুমের জন্য খরচ 20,00,000 টাকা

18. সাব ডিভিতে ইনডোর গেমস রুম, স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডের জন্য 6,27,000 টাকা

19. চণ্ডীতলায় হেলথ সেন্টার আউটডোর ওপিডি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন আনিয়া বিপিএইচসির জন্য খরচ 14,25,367 টাকা

20. হাওড়া ডোমজুরে দুর্গাপুর অভয়নগর আইজিপিতে 60 ওয়াট এলইডি স্ট্রিট লাইটের জন্য খরচ 11,50,000 টাকা

21. রিষড়া পৌরসভার অধীনে 11 নং ওয়ার্ডে রিষড়া মাতৃসদনে একটি আইসিইউ ভেন্টিলেটরের জন্য খরচ 11,76,000 টাকা

22. উত্তরপাড়া কোটরং পৌরসভায় রোগীর কেবিনে অভ্যন্তরীণ এবং সরঞ্জাম-সহ উন্নত লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ 35,71,746 টাকা

সাংসদ নিজের উন্নয়নের বিরাট খতিয়ান তুলে ধরলেও বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি শ্রীরামপুর লোকসভা এলাকায় । কী কী হয়নি সেখানে ? বিরোধীদের কথায়,

1. গত 15 বছরের সাংসদ শিল্প আনতে পারেননি

2.চাঁপদানি থেকে রিষড়া পর্যন্ত একাধিক জুটমিল ও কটনমিল ধুঁকছে

3. যুবক-যুবতীর জন্য কর্মসংস্থান হয়নি

4. শহরের প্রান্তে যানজটের জন্য রেললাইনের উপর ফ্লাইওভার হয়নি

5. জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা, ডোমজুড়-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

6. উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়ে আছে

বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোস অভিযোগ করেছেন, "শ্রমিকদের স্বার্থে কোনও কিছুই করেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । একাধিক শ্রমিক মহল্লায় জল, বিদ্যুৎ নেই । কীভাবে তাঁরা জীবনযাপন করছেন, উনি একবার তা দেখতেও যান না । প্রতিবার ভোটের সময় ভোট চাইতে যান । শিল্প কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু ব্যবস্থা করেননি তিনবারের সাংসদ । মহুয়া মৈত্র যখন একজন ব্যবসায়ীর হাতে ভারতকে বিক্রি করে দিয়েছিল, তাঁর লগইন আইডি দুবাই রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল, সেই জায়গায় কল্যাণবাবু ভারতকে যে বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁকে সমর্থন করেছেন । প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ৷ এটা কি জনপ্রতিনিধির ব্যবহারের মধ্যে পড়ে ? সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন । সুতরাং সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ মোদিজির উপর ভরসা করে আগামী দিনে আমাকে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী ৷"

পাঁচ বছরে সাংসদ তহবিলের 17 কোটি টাকা দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন, সেটা কি প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে ? প্রশ্ন বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের । তিনি দাবি করেন, "বৈদ্যবাটি, কোন্নগর, শেওড়াফুলি রেলগেটের ফলে যে যানজটের সৃষ্টি হয়, তার জন্য কোন মাস্টারপ্ল্যানের উপর কাজ করেছেন ? 15 বছরের তিনি তৃণমূল প্রার্থী । শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যে একাধিক উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । শ্রীরামপুর কলেজ-সহ একাধিক কলেজে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । শ্রীরামপুরে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে, বামেদের সঙ্গে জোট হয়নি । সেটা আলাদা ব্যাপার । আমরা চাই তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তি জোটবদ্ধ হোক । সমস্ত মানুষের কাছে আমরা যাব, আমাদের দাবি তুলে ধরব । আশা করছি, মানুষ আমাদের সমর্থন করবে । সবচেয়ে বড় দুঃখ, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেন তাঁরা চাকরি পেলেন না । আর যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেলেন, তাঁদের পক্ষে লড়াই করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । সুতরাং মানুষের প্রতি বিশ্বাস আছে, সব দলের মানুষ আমাদের সমর্থন করবেন ।"

বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একাধিক জায়গায় উন্নয়ন করেছি । বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও রাস্তাঘাটের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে । চাঁপদানি থেকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত পৌরসভা ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সরঞ্জামের ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে । নিজের সাংসদ তহবিল ছাড়াও অন্যান্য সাংসদের বাকি টাকা খরচ করেছি ।

শ্রীরামপুর লোকসভায় শিল্প হয়নি - বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সিপিআইএম ও শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন শিল্পকে শেষ করে দিয়ে গিয়েছেন । যেভাবে হিন্দমোটর শেষ করেছে । একাধিক জুটমিলও বন্ধ করে দিয়েছে । আমরা এসে জুটমিলগুলি খোলার ব্যবস্থা করেছি । এখনও জুটমিলগুলি চালিয়ে যাচ্ছি ।"

হুগলি জেলায় অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৷ করোনার সময় সেই ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছিল । কী ব্যবস্থা করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ? কল্যাণের জবাব, "ভারতীয় জনতা পার্টি শ্রমিক নিয়ে কী করেছে আগে তার উত্তর দিক । ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও হিসাব নেই । এখন পশ্চিমবাংলা সেই চিন্তাভাবনার দিকে এগোচ্ছে ।"

তাঁর প্রশ্ন, বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় ছিল, শিল্প ও পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কাজ করেনি কেন ? তখন এত শিল্পপ্রেম কোথায় ছিল ? সিপিএমকে পালটা আক্রমণ করে কল্যাণ বলেন, "একসময়ে বামফ্রন্ট সরকার চল্লিশ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা দিত এখন দেওয়ালে লিখছে 3 হাজার টাকা করে দেব । এখন সিপিআইএম বলছে, তারা ক্ষমতায় এলে এত এত উন্নয়ন করবে । তাহলে কেরলে তো তারা সরকারে রয়েছে । ওখানে করুন না ।" কল্যাণের প্রশ্ন, "কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিসংখ্যান নেই কেন ? কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বোনের কাছে ইডি যায় কেন ?"

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী হিসেবে দুর্নীতির পক্ষে সরকারের আইনজীবী হিসেবে সওয়াল জবাব করেছেন । এখানেই বিরোধী বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের দাবি, "অন্যায়কে আখেরে সমর্থন করছেন তৃণমূল প্রার্থী । সেই প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণের সাফাই, আইনজীবী হিসেবে সরকারের হয়ে মামলা লড়েছি । এটা পেশাগত অধিকার ৷ সরকার মামলা করতে বলেছে, করেছি । কিন্তু আমি কোনও ব্যক্তিগত মামলায় লড়াই করিনি ।"

শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপি এবং সিপিআইএম কোনও ফ্যাক্টর হবে না বলে আশাবাদী শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থীঁ। তাঁর মতে, এখন দুই দল তলানিতে এসে ঠেকেছে । আমার ধারণা ছিল, সিপিআইএমের নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে । কিন্তু ওঁদের লড়াই শুধু সোশাল মিডিয়ায় । এখনও গ্রামাঞ্চলে পুরনো লোকজনই দেয়াল লিখছেন ।

আইএসএফ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত, এই দল এখন খুচরো দল হয়ে গিয়েছে । আইএসএফ সিপিআইএমের ভোট কাটবে না, বরঞ্চ তৃণমূলের ভোট কাটবে । নওশাদ সিদ্দিকীর মাথায় পাকা কাঁঠাল ভেঙেছেন মহম্মদ সেলিম ও শুভেন্দু অধিকারী ।"

আরও পড়ুন:

  1. বাঁকুড়ার লালমাটিতে কি ফের পদ্ম ফোটাতে পারবেন সুভাষ সরকার ?
  2. 5 বছর বেপাত্তা নিশীথ ! নাকি রাজ্যের বাধায় কাজ হয়নি ? কী বলছে কোচবিহার
  3. রাস্তা-জল-আলো সবই আছে বারাসতে! কী বলছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের রিপোর্ট ?

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড

শ্রীরামপুর, 12 এপ্রিল: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র ৷ এই কেন্দ্রে চাঁপদানি থেকে উত্তরপাড়া ডানকুনি পর্যন্ত শহরতলি রয়েছে । অন্যদিকে চণ্ডীতলা, জঙ্গিপাড়া, হাওড়ার ডোমজুর ও জগৎবল্লভপুরের মতো গ্রামাঞ্চলও রয়েছে । শহরতলি জুড়ে রয়েছে শিল্পাঞ্চল । জুটমিল, কটনমিল ও একাধিক যন্ত্রপাতির কারখানা । কিন্তু অধিকাংশ কারখানা হয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো ধুঁকছে । শ্রীরামপুর লোকসভায় তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । এ বারেও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী । শিল্প ও কর্মসংস্থানের অভাবের কথা টেনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছেন বাম ও বিজেপি ৷ যদিও বিদায়ী সাংসদ উন্নয়নের খাতে তহবিলের প্রায় পুরোটাই খরচ করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন ৷ কিন্তু কী বলছে জনতা জনার্দন ? নজর রাখব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ডে ৷

মানুষ বলছে, তৃণমূলের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তার সম্প্রসারণের উন্নতি হয়েছে ঠিকই । কিন্ত বাড়ছে যানজট । শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার আরও উন্নতি চান স্থানীয়রা । শহরতলির অনেকাংশেই অবাঙালি মানুষের বাস । সকলেরই দাবি, শিল্প ও কর্মসংস্থান প্ৰয়োজন । এছাড়াও গ্রামের যুবকরা কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে । বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা । সেই একাধিক বিধানসভার নানা সমস্যা ও উন্নয়নের খতিয়ান দেখে নেব একনজরে ৷

শ্রীরামপুর লোকসভায় 2009 সালে বাম প্রার্থী শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকে তিনিই এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন । গতবার তাঁর প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির দেবজিৎ সরকার । বামেরা চলে যায় তৃতীয় স্থানে । এ বারে সেখানে বাম প্রার্থী হয়েছেন নতুন প্রজন্মের দীপ্সিতা ধর । কেন্দ্রীয় স্তরের যুব নেত্রী তিনি । অন্যদিকে, বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোসকে । তিনি অবশ্য গত বিধানসভা ভোটে শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়েছিলেন ৷

তিনবারের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 15 বছর ধরে শ্রীরামপুর লোকসভাজুড়ে একাধিক উন্নয়ন করেছেন । শ্রীরামপুর লোকসভা এলাকায় মোট 17 কোটি 85 লক্ষ 21 হাজার 428 টাকা তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে খরচ করেছেন । এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন । সেই কারণে স্কুল বিল্ডিং, আলো ছাড়াও পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাজ্যের হাসপাতালগুলির মান উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ।

বিশেষ বিশেষ খাতে সাংসদ তহবিল থেকে খরচের হিসাব

1. রিষড়া মাতৃসদন (রিষড়া) ব্যবহারের জন্য ইউজিজি কালার ডপলার মেশিন, খরচ 22,50,000 টাকা

2. কোভিড মোকাবিলায় জরুরি আপগ্রেডেশনের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ মহকুমা হাসপাতালে আইপিডি 3 তলা বিল্ডিংয়ের জন্য খরচ 24,98,378 টাকা
3. চাঁপদানি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ 27,85,200 টাকা
4. উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এইচডিডি সিসিইউ-এর জন্য খরচ 16,02,000 টাকা
5. জগতবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আই কেয়ার ইউনিট, ডেন্টাল ইউনিট, ল্যাবরেটরি এবং বিল্ডিং-এর জন্য খরচ 23,02,880 টাকা

6. চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ডিজিটাল রেডিয়োগ্রাফি সিস্টেম-সহ এক্সরে মেশিনের জন্য খরচ 17,00,000 টাকা

7. জাঙ্গিপাড়ায় রশিদপুরে উদয়চাঁদ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য খরচ 9,46,922 টাকা

8. রিষড়া মাতৃসদনে ডায়ালিসিস মেশিনের জন্য খরচ 15,00,000 টাকা

9. শ্রীরামপুরে ওয়ালশ হাসপাতালে গ্যাংওয়ে এসএসএইচ বিল্ডিং করতে খরচ 18,58,068 টাকা

10. রিষড়া মাতৃ সদনে আইসিইউ ভেন্টিলেটর, সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকসেসরিজ-সহ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সি-আর্ম মেশিন, অ্যানেস্থেসিয়া ওয়ার্ক স্টেশনের (ওটি) জন্য খরচ 35,00,600 টাকা

11. জগৎবল্লভপুরে শ্মশানে চুল্লির জন্য খরচ 6,50,000 টাকা

12. ডোমজুরে ঝাড়ধাধা রাজাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নির্মাণের জন্য 10,09,998 টাকা

13. ঝাড়ধাধা রাজাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেরারি নির্মাণের জন্য খরচ 10,09,998 টাকা

14. উত্তরপাড়া মহামায়া শিশু হে মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে ল্যাপরোস্কোপিক ক্যামেরা সেট এবং অপারেশন ল্যাম্পে খরচ
42,72,500 টাকা

15. হাওড়ার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নারী দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য খরচ 12,50,190 টাকা

16. ডানকুনিতে এক্সরে মেশিনের জন্য খরচ 18,00,000 টাকা

17. রঘুনাথপুর নাফর অ্যাকাডেমি ও নিশ্চিন্দা বালিকা বিদ্যাপীঠের অতিরিক্ত ক্লাসরুমের জন্য খরচ 20,00,000 টাকা

18. সাব ডিভিতে ইনডোর গেমস রুম, স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডের জন্য 6,27,000 টাকা

19. চণ্ডীতলায় হেলথ সেন্টার আউটডোর ওপিডি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন আনিয়া বিপিএইচসির জন্য খরচ 14,25,367 টাকা

20. হাওড়া ডোমজুরে দুর্গাপুর অভয়নগর আইজিপিতে 60 ওয়াট এলইডি স্ট্রিট লাইটের জন্য খরচ 11,50,000 টাকা

21. রিষড়া পৌরসভার অধীনে 11 নং ওয়ার্ডে রিষড়া মাতৃসদনে একটি আইসিইউ ভেন্টিলেটরের জন্য খরচ 11,76,000 টাকা

22. উত্তরপাড়া কোটরং পৌরসভায় রোগীর কেবিনে অভ্যন্তরীণ এবং সরঞ্জাম-সহ উন্নত লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ 35,71,746 টাকা

সাংসদ নিজের উন্নয়নের বিরাট খতিয়ান তুলে ধরলেও বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি শ্রীরামপুর লোকসভা এলাকায় । কী কী হয়নি সেখানে ? বিরোধীদের কথায়,

1. গত 15 বছরের সাংসদ শিল্প আনতে পারেননি

2.চাঁপদানি থেকে রিষড়া পর্যন্ত একাধিক জুটমিল ও কটনমিল ধুঁকছে

3. যুবক-যুবতীর জন্য কর্মসংস্থান হয়নি

4. শহরের প্রান্তে যানজটের জন্য রেললাইনের উপর ফ্লাইওভার হয়নি

5. জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা, ডোমজুড়-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

6. উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়ে আছে

বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোস অভিযোগ করেছেন, "শ্রমিকদের স্বার্থে কোনও কিছুই করেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । একাধিক শ্রমিক মহল্লায় জল, বিদ্যুৎ নেই । কীভাবে তাঁরা জীবনযাপন করছেন, উনি একবার তা দেখতেও যান না । প্রতিবার ভোটের সময় ভোট চাইতে যান । শিল্প কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু ব্যবস্থা করেননি তিনবারের সাংসদ । মহুয়া মৈত্র যখন একজন ব্যবসায়ীর হাতে ভারতকে বিক্রি করে দিয়েছিল, তাঁর লগইন আইডি দুবাই রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল, সেই জায়গায় কল্যাণবাবু ভারতকে যে বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁকে সমর্থন করেছেন । প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ৷ এটা কি জনপ্রতিনিধির ব্যবহারের মধ্যে পড়ে ? সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন । সুতরাং সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ মোদিজির উপর ভরসা করে আগামী দিনে আমাকে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী ৷"

পাঁচ বছরে সাংসদ তহবিলের 17 কোটি টাকা দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন, সেটা কি প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে ? প্রশ্ন বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের । তিনি দাবি করেন, "বৈদ্যবাটি, কোন্নগর, শেওড়াফুলি রেলগেটের ফলে যে যানজটের সৃষ্টি হয়, তার জন্য কোন মাস্টারপ্ল্যানের উপর কাজ করেছেন ? 15 বছরের তিনি তৃণমূল প্রার্থী । শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যে একাধিক উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । শ্রীরামপুর কলেজ-সহ একাধিক কলেজে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । শ্রীরামপুরে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে, বামেদের সঙ্গে জোট হয়নি । সেটা আলাদা ব্যাপার । আমরা চাই তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তি জোটবদ্ধ হোক । সমস্ত মানুষের কাছে আমরা যাব, আমাদের দাবি তুলে ধরব । আশা করছি, মানুষ আমাদের সমর্থন করবে । সবচেয়ে বড় দুঃখ, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেন তাঁরা চাকরি পেলেন না । আর যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেলেন, তাঁদের পক্ষে লড়াই করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । সুতরাং মানুষের প্রতি বিশ্বাস আছে, সব দলের মানুষ আমাদের সমর্থন করবেন ।"

বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একাধিক জায়গায় উন্নয়ন করেছি । বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও রাস্তাঘাটের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে । চাঁপদানি থেকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত পৌরসভা ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সরঞ্জামের ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে । নিজের সাংসদ তহবিল ছাড়াও অন্যান্য সাংসদের বাকি টাকা খরচ করেছি ।

শ্রীরামপুর লোকসভায় শিল্প হয়নি - বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সিপিআইএম ও শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন শিল্পকে শেষ করে দিয়ে গিয়েছেন । যেভাবে হিন্দমোটর শেষ করেছে । একাধিক জুটমিলও বন্ধ করে দিয়েছে । আমরা এসে জুটমিলগুলি খোলার ব্যবস্থা করেছি । এখনও জুটমিলগুলি চালিয়ে যাচ্ছি ।"

হুগলি জেলায় অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৷ করোনার সময় সেই ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছিল । কী ব্যবস্থা করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ? কল্যাণের জবাব, "ভারতীয় জনতা পার্টি শ্রমিক নিয়ে কী করেছে আগে তার উত্তর দিক । ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও হিসাব নেই । এখন পশ্চিমবাংলা সেই চিন্তাভাবনার দিকে এগোচ্ছে ।"

তাঁর প্রশ্ন, বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় ছিল, শিল্প ও পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কাজ করেনি কেন ? তখন এত শিল্পপ্রেম কোথায় ছিল ? সিপিএমকে পালটা আক্রমণ করে কল্যাণ বলেন, "একসময়ে বামফ্রন্ট সরকার চল্লিশ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা দিত এখন দেওয়ালে লিখছে 3 হাজার টাকা করে দেব । এখন সিপিআইএম বলছে, তারা ক্ষমতায় এলে এত এত উন্নয়ন করবে । তাহলে কেরলে তো তারা সরকারে রয়েছে । ওখানে করুন না ।" কল্যাণের প্রশ্ন, "কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিসংখ্যান নেই কেন ? কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বোনের কাছে ইডি যায় কেন ?"

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী হিসেবে দুর্নীতির পক্ষে সরকারের আইনজীবী হিসেবে সওয়াল জবাব করেছেন । এখানেই বিরোধী বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের দাবি, "অন্যায়কে আখেরে সমর্থন করছেন তৃণমূল প্রার্থী । সেই প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণের সাফাই, আইনজীবী হিসেবে সরকারের হয়ে মামলা লড়েছি । এটা পেশাগত অধিকার ৷ সরকার মামলা করতে বলেছে, করেছি । কিন্তু আমি কোনও ব্যক্তিগত মামলায় লড়াই করিনি ।"

শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপি এবং সিপিআইএম কোনও ফ্যাক্টর হবে না বলে আশাবাদী শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থীঁ। তাঁর মতে, এখন দুই দল তলানিতে এসে ঠেকেছে । আমার ধারণা ছিল, সিপিআইএমের নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে । কিন্তু ওঁদের লড়াই শুধু সোশাল মিডিয়ায় । এখনও গ্রামাঞ্চলে পুরনো লোকজনই দেয়াল লিখছেন ।

আইএসএফ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত, এই দল এখন খুচরো দল হয়ে গিয়েছে । আইএসএফ সিপিআইএমের ভোট কাটবে না, বরঞ্চ তৃণমূলের ভোট কাটবে । নওশাদ সিদ্দিকীর মাথায় পাকা কাঁঠাল ভেঙেছেন মহম্মদ সেলিম ও শুভেন্দু অধিকারী ।"

আরও পড়ুন:

  1. বাঁকুড়ার লালমাটিতে কি ফের পদ্ম ফোটাতে পারবেন সুভাষ সরকার ?
  2. 5 বছর বেপাত্তা নিশীথ ! নাকি রাজ্যের বাধায় কাজ হয়নি ? কী বলছে কোচবিহার
  3. রাস্তা-জল-আলো সবই আছে বারাসতে! কী বলছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের রিপোর্ট ?
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.