চন্দননগর, 2 নভেম্বর: ট্র্যাডিশনাল সন্দেশ, জলভরা, লবঙ্গলতিকা, নাকি থিমের স্বর্ণলেখা, কুমকুম, অমৃতকুম্ভ ! মিষ্টির দোকানের শোকেসে শনির সকাল থেকেই জায়গা পেয়েছে হরেক ফ্লেভারের চোখ জুড়নো মিষ্টি ৷ ভাইফোঁটা মানে মিষ্টির বাহার ৷ রংবেরঙের নানা ধরনের স্বাদে সেজে ওঠে মিষ্টির দোকানগুলি। চকলেট মনোহরা, ভাইফোঁটা লেখা মিষ্টি তার মধ্য়ে অন্য়তম। বিভিন্ন স্বাদের জলভরা ছাড়াও ফিউশন মিষ্টির চল রয়েছে।
চকোলেট থেকে ম্যাঙ্গো, স্ট্রবেরি, লিচু, কোন স্বাদ নেই সেই তালিকায় ! শহর থেকে জেলা-দোকানে দোকানে ভিড় উপচে পড়া। দেদার বিকোচ্ছে রংবেরঙের ভাইফোঁটার বিশেষ গজা থেকে খাজা।
তাহলে থিমের মিষ্টির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে ট্র্যাডিশনাল সন্দেশ ও রসগোল্লা ! ভাইয়ের আতিথেয়তায় কি দিদিরা আধুনিক মিষ্টিকেই বেছে নিচ্ছেন ? উত্তরে দোকানদার জানাচ্ছেন, আধুনিক মিষ্টির চেয়েও ভাইফোঁটায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মিষ্টিগুলির চাহিদা বেশি বলে দাবি বিক্রেতাদের।
চন্দননগরে রসালো মিষ্টির সঙ্গে নরম পাকের শুকনো সন্দেহের চাহিদা বেশি। মিষ্টি প্রিয় বাঙালিদের কথা মাথায় রেখেই দামে সামঞ্জস্য রেখেছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। 10 টাকা থেকে 200 টাকা পর্যন্ত মিষ্টি রয়েছে দোকানগুলিতে। এবছর দুর্গাপুজোর চেয়ে ভাইফোঁটার বাজার ভালোই বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস বলেন, "জলভরা তো আছেই, ভাইফোঁটা উপলক্ষে প্রায় 380 রকম মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। চকলেট মনোহরা, চকলেট মস্তি, নলেন গুড়ের চাপ-সন্দেশ, ক্রিম চপ, শান্তিভোগ, কৈরাভোগ এছাড়াও চকলেট ও ক্রিমের মিষ্টি। পাশাপাশি চিরাচরিত খাজাতেও চকলেট স্বাদ রয়েছে। 10 টাকা থেকে 200 টাকা দামের সব মিষ্টিই রয়েছে ৷ মিষ্টি তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে তাই সব মিষ্টিতেই 10 থেকে 15 শতাংশ দাম বেড়েছে।
এদিকে বোনেরা সকাল থেকে মিষ্টি কিনতে লাইন দিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মিষ্টির প্যাকেট হাতে পাওয়ার পর তবেই স্বস্তি মিলছে। আরেক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী শৈবাল মোদক বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা মিষ্টির দাম বাড়াতে পারিনি ৷ তবে আমাদের দোকানে ফিউশন মিষ্টি যেমন আছে, তেমনি ট্রাডিশনালও রয়েছে ৷ বিশেষ করে গড়ে 30 থেকে 40 টাকার মধ্যেই বোনেরা, ভাইদের জন্য মিষ্টি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গজা, খাজা সেইসঙ্গে চন্দননগরের বিখ্যাত জলভরার ভালো বাজার রয়েছে ৷ এবছরে দুর্গাপুজোর চেয়েও ভাইফোঁটার বাজার ভালোই বেশ।"