শিলিগুড়ি, 12 ফেব্রুয়ারি: বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এসটিএফের অভিযানে পাচারের আগে উদ্ধার 3 কোটির ব্রাউন সুগার । উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ 4 কেজি 769 গ্রাম ৷ ঘটনায় এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। চলতি বছরে এটিই এসটিএফের সবথেকে বড় সাফল্য। সোমবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে এসটিএফের ডিএসপি (উত্তরবঙ্গ) সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "প্রায় 5 কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা গিয়েছে, প্রথমে দক্ষিণবঙ্গে তারপর সেখান থেকে ভিন রাজ্যে সেগুলি পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের । এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।"
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সুজিত বিশ্বাস। বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। সে মূলত ক্যারিয়ার বা পাচারকারীর কাজ করছিল। 10 ফেব্রুয়ারি সে ওই মাদক সংগ্রহ করতে কলকাতা থেকে বিমানে অসমের গুয়াহাটি পৌঁছেছিল। গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে তিনশুকিয়া যায়। সেখানে তাকে ওই মাদক পাচারের জন্য দেওয়া হয়। মাদক সংগ্রহ করে অসমের তেজপুর থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে বাস ধরে। সেইসময় গোপন সূত্রে খবর পায় এসটিএফ আধিকারিকরা। এরপর বাসটি শিলিগুড়ি জংশন পৌঁছতেই অভিযান চালায় এসটিএফ আধিকারিকরা ৷ এক সন্দেহভাজনকে আটক করে। অভিযুক্তকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ওই মাদক। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই মাদক নদিয়ায় হাতবদলের কথা ছিল। হাতবদলের পর সেখান থেকে দিল্লি পাচার করা হত ৷ তবে তার আগেই গোপনসূত্রে খবর পেয়ে যায় এসটিএফ ৷ সেই মতোই অভিযান চালানোয় ভেস্তে যায় মাদক পাচার ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তাও জানার চেষ্টা করছে তদন্তরকারীরা ৷ এমনকী আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সংযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রাউন সুগারের কালোবাজারির ঘটনা অত্যান্ত বেড়েছে । মূলত, দিল্লি, মুম্বই, গোয়াতেও এই ধরণের ব্রাউন সুগারের চাহিদা বেশি বলে জানা গিয়েছে। যারফলে বাড়ছে পাচারকারীদের রমরমা ৷
আরও পড়ুন: