ETV Bharat / state

পুজো যেতেই দাম কমল কাঁচা চা-পাতার, বিপাকে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চাষিরা

এক লাফে অনেকটা দাম কমল কাঁচা চা-পাতার ৷ আর তার জেরে ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র চাষিরা ৷ কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের অভিযোগ ৷

RAW TEA LEAVES PRICE REDUCE
কাঁচা চা-পাতার দাম কমায় বিপাকে ক্ষুদ্র চা চাষিরা ৷ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 20, 2024, 5:49 PM IST

জলপাইগুড়ি, 20 অক্টোবর: দুর্গাপুজো যেতেই দাম পড়ল কাঁচা চা-পাতার ৷ তার জেরে বিপাকে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা-চাষিরা ৷ অভিযোগ, পুজোর পর কারখানা খুলতেই কাঁচা চা-পাতার দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ কেজি প্রতি পাতার দাম 30 টাকা থেকে কমে 11-15 টাকা হয়েছে ৷ অর্থাৎ, একধাপে অর্ধেক দাম পড়েছে ৷ তার ফলে মাথায় হাত জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষিদের ৷

শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ ক্ষুদ্র চা-চাষিদের সংগঠনের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে ফ্যাক্টরি মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফা আয়ের প্রবণতা ৷ এ নিয়ে গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতি বৈঠক করে ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাতার দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টি-বোর্ডের হস্তক্ষেপের দাবি করবেন চা-চাষিরা ৷ সেই মতো আবেদনও করা হয়েছে ৷

16 শতাংশ বোনাস ঘোষণা শ্রম দফতরের; দাবি না-মানায় কর্মবিরতির পথে চা-শ্রমিকরা

ক্ষুদ্র চাষিদের অভিযোগ, এ-বছর আবহাওয়ার কারণে প্রথম দিকে উৎপাদন কম ছিল ৷ তারপরে পাতা তোলা বন্ধ হওয়ার আগে, এই পরিস্থিতি হলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে তাঁদের ৷ কারখানাগুলির তরফে ইচ্ছাকৃতভাবে পাতার দাম কম দেওয়া হচ্ছে ৷

জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী জানান, "হঠাৎ করে কাঁচা চা-পাতার দাম কমে গিয়েছে ৷ এমন অবস্থায় চা-চাষিরা পাতা তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ বাজারে ধস নামেনি ৷ ফ্যাক্টরির সঙ্গে কথা বলেই পাতা দিয়ে থাকি ৷ কিছু কিছু চা ফ্যাক্টরির মনোপলি ব্যবসার কারণে 30 নভেম্বরের পর, পাতা তোলা যাবে না ৷ এসবের মধ্যে পাতার দাম কমিয়ে দেওয়া হলে, আমরা বিপদে পড়ব ৷"

আগামী 24 অক্টোবর টি-বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বিজয়গোপাল চক্রবর্তী ৷ তিনি জানান, আগে বটলিফ ফ্যাক্টরির সঙ্গে যৌথ কমিটি গড়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হত ৷ কিন্তু, বটলিফ এখন একক সিদ্ধান্তে চলছে বলে অভিযোগ ৷ তাই ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির বক্তব্য, এমনটা চলতে থাকলে, ক্ষুদ্র চা-চাষিরাও নিজেদের মতো চলবেন ৷ টি-বোর্ড এই বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ করুক, সেটাই চান জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতির সম্পাদক ৷

ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতি সূত্রে খবর, পুজোর পরে গত সোমবার চা ফ্যাক্টরি খুলেছে ৷ ওই দিন কাঁচা পাতার দাম ছিল কেজি প্রতি 26-30 টাকা ৷ এরপর পাতার দাম নেমে দাঁড়ায় 22-26 টাকায় ৷ বুধবার কেজি প্রতি কাঁচা পাতার দাম ছিল 11-15 টাকা ৷ আর গত বৃহস্পতিবার তা কমে কেজি প্রতি 10-12 টাকা হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ পুজোয় ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত কাঁচার চা পাতার দাম ছিল 33-30 টাকা কেজি ৷ কিন্তু, হঠাৎ করে কাঁচা চা পাতার দাম কমায় মাথায় হাত পড়েছে ক্ষুদ্র চাষিদের ৷

জলপাইগুড়ি, 20 অক্টোবর: দুর্গাপুজো যেতেই দাম পড়ল কাঁচা চা-পাতার ৷ তার জেরে বিপাকে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা-চাষিরা ৷ অভিযোগ, পুজোর পর কারখানা খুলতেই কাঁচা চা-পাতার দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ কেজি প্রতি পাতার দাম 30 টাকা থেকে কমে 11-15 টাকা হয়েছে ৷ অর্থাৎ, একধাপে অর্ধেক দাম পড়েছে ৷ তার ফলে মাথায় হাত জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষিদের ৷

শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ ক্ষুদ্র চা-চাষিদের সংগঠনের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে ফ্যাক্টরি মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফা আয়ের প্রবণতা ৷ এ নিয়ে গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতি বৈঠক করে ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাতার দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টি-বোর্ডের হস্তক্ষেপের দাবি করবেন চা-চাষিরা ৷ সেই মতো আবেদনও করা হয়েছে ৷

16 শতাংশ বোনাস ঘোষণা শ্রম দফতরের; দাবি না-মানায় কর্মবিরতির পথে চা-শ্রমিকরা

ক্ষুদ্র চাষিদের অভিযোগ, এ-বছর আবহাওয়ার কারণে প্রথম দিকে উৎপাদন কম ছিল ৷ তারপরে পাতা তোলা বন্ধ হওয়ার আগে, এই পরিস্থিতি হলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে তাঁদের ৷ কারখানাগুলির তরফে ইচ্ছাকৃতভাবে পাতার দাম কম দেওয়া হচ্ছে ৷

জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী জানান, "হঠাৎ করে কাঁচা চা-পাতার দাম কমে গিয়েছে ৷ এমন অবস্থায় চা-চাষিরা পাতা তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ বাজারে ধস নামেনি ৷ ফ্যাক্টরির সঙ্গে কথা বলেই পাতা দিয়ে থাকি ৷ কিছু কিছু চা ফ্যাক্টরির মনোপলি ব্যবসার কারণে 30 নভেম্বরের পর, পাতা তোলা যাবে না ৷ এসবের মধ্যে পাতার দাম কমিয়ে দেওয়া হলে, আমরা বিপদে পড়ব ৷"

আগামী 24 অক্টোবর টি-বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বিজয়গোপাল চক্রবর্তী ৷ তিনি জানান, আগে বটলিফ ফ্যাক্টরির সঙ্গে যৌথ কমিটি গড়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হত ৷ কিন্তু, বটলিফ এখন একক সিদ্ধান্তে চলছে বলে অভিযোগ ৷ তাই ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির বক্তব্য, এমনটা চলতে থাকলে, ক্ষুদ্র চা-চাষিরাও নিজেদের মতো চলবেন ৷ টি-বোর্ড এই বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ করুক, সেটাই চান জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতির সম্পাদক ৷

ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতি সূত্রে খবর, পুজোর পরে গত সোমবার চা ফ্যাক্টরি খুলেছে ৷ ওই দিন কাঁচা পাতার দাম ছিল কেজি প্রতি 26-30 টাকা ৷ এরপর পাতার দাম নেমে দাঁড়ায় 22-26 টাকায় ৷ বুধবার কেজি প্রতি কাঁচা পাতার দাম ছিল 11-15 টাকা ৷ আর গত বৃহস্পতিবার তা কমে কেজি প্রতি 10-12 টাকা হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ পুজোয় ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত কাঁচার চা পাতার দাম ছিল 33-30 টাকা কেজি ৷ কিন্তু, হঠাৎ করে কাঁচা চা পাতার দাম কমায় মাথায় হাত পড়েছে ক্ষুদ্র চাষিদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.