আসানসোল, 29 জানুয়ারি: নীতীশ কুমারের বিজেপিতে ফেরা নিয়ে মুখ খুললেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা । সোমবার আসানসোলের কল্যাণপুরে শ্রমিক কল্যাণ ভবনে আদিবাসী মিলন উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন । সেখানেই নীতীশ কুমার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপিকে এক হাত নিলেন বলিউডের 'বিহারীবাবু' ।
শত্রুঘ্ন সিনহা এদিন বলেন, "আমি নীতীশকে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কোনও কথা বলব না । কিন্তু অনেকেই ওঁকে পাল্টুরাম বলছে ৷ আমি তো বলব পাল্টুরাম তো ওরা, যারা বলেছিল নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে না সরানো পর্যন্ত পাগড়ি খুলব না । পাল্টুরাম তো তারা, যারা বলেছিল নাক রগড়াবে তাও নীতীশকে ফেরানো হবে না । আমাদের দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত বলেছিলেন, চিরদিনের মত নীতীশ কুমারের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির দরজা বন্ধ হয়ে গেল । হঠাৎ এমন কী দরকার পড়ল যে নীতীশকে ফেরাতে হল নাকি এসবই ভোট ব্যাঙ্কের নাটক ? হয়ত ওঁরা বুঝতে পেরেছেন নীতীশকে দরকার। তাহলে কি অযোধ্যার প্রভাব দু-তিনদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে ?"
শত্রুঘ্ন সিনহার দাবি, নীতীশ কুমারের বিজেপিতে যোগদানে সবচেয়ে লাভবান হবেন তেজস্বী যাদব । তাঁর কথায়, "বিহারের কংগ্রেসও এর ফলে লাভবান হবে । তেজস্বীর আরজেডি এবং কংগ্রেস যত বেশি লোকসভা ভোটে প্রচার করতে পারবেন, ততই তাদের আসন বাড়বে । ঠিক ভোটের মুখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাউকে এই দল বদল করতে উৎসাহ দেওয়া বা দল বদলুকে দলে নেওয়া এটা অনেকে রাজনৈতিক চাল বললেও আমি বলব এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র । আর এই ষড়যন্ত্রে বিহারের মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়ে যায়, এমন আশঙ্কা করছি ।"
অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুর এনআরসি নিয়ে মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা । এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "উনি কে ? কী করেন, কী বিক্রি করেন ? ওঁপ কী ক্ষমতা এই ধরনের মন্তব্য করছেন ? ওঁকে কেউ প্ররোচনা দিচ্ছে এই সব কথা বলার জন্য । লোকসভা ভোট সামনে । সংসদের কার্যকাল শেষ হতে চলেছে সেখানে এই সব মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। এই মন্তব্য অব্যবহারিক ও অসম্ভব ।"
আরও পড়ুন :