কলকাতা, 18 মার্চ: ভেঙে পড়া বহুতল ছিল বেআইনি নির্মাণ। সকালেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও সুজিত বসুকে পাশে নিয়ে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই নির্মীয়নাণ বাড়ি বেআইনি ৷ এদিকে গতকাল রাতে থেকে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন এলাকার 134 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবাল। প্রায় 18 ঘণ্টা পর মুখ খুললেন তিনি। তিনি বলেন, "আমার পৌর পরিষেবা দেওয়ার কাজ। বহুতল আইনি বা বেআইনি দেখা ও জানা কাজ নয়।"
পাশাপশি তাঁকে নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এক্সে মন্তব্য করা নিয়েও হুঁশিয়ারি দেন শামস ইকবাল ৷ এলাকার কাউন্সিলরের সংযোজন, "শুভেন্দু অধিকারী আমার সম্পত্তি নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন, তাঁকে বলব সেই অভিযোগ প্রমাণ করুণ। না পারলে আমিও পালটা আদালতের দ্বারস্থ হব।"
134 নম্বর ওয়ার্ডে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার পর অভিযোগ উঠেছিল বাড়িতে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ হয়েছে। শুধু এই বাড়ি নয় এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, পুরো চত্বরে একাধিক বহুতল এমনভাবেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে। দু-থেকে তিন ফুট গলির মধ্যে মাথা ফুড়ে উঠেছিল এই পাঁচতলা বাড়ি। গতকাল রাতে যা ভেঙে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয় ৷ একাধিক মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছিল স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, গার্ডেনরিচ থানা ও এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবাল পুরো ঘটনা সবটাই জানে ৷ এলাকায় তাঁদের দাপটের কাছে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করা বা বাধা দানের সাহসও দেখাতে পারেন না। এই প্রসঙ্গে ঘটনার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন ছিলেন কাউন্সিলর শামস ইকবাল। তবে শেষমেশ মুখ খুললেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, "আমি এই ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি ৷ আমার কাজ পৌর পরিষেবা প্রদান করা। আমি সেই কাজটাই করে থাকি। এর বাইরে কোন বাড়ি আইনি অথবা বেআইনিভাবে হয় সেই বিষয়টি দেখার জন্য বিল্ডিং বিভাগ আছে। তাঁদের আধিকারিকরা আছেন ৷ তাঁরাই এই বিষয়টি বুঝবেন এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না বা আমার কাছে খোঁজ খবরও থাকে না।"
তিনি আরও বলেন, "আজ মেয়র সাহেব এসে বলেছেন এই বাড়ি অবৈধভাবে নির্মাণ হচ্ছিল এবং এই ঘটনা তদন্ত করা হবে ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ সেই অনুসারী তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না। প্রোমোটার বা কাজকর্ম সম্বন্ধে আমার কিছুই জানা নেই। শুভেন্দু অধিকারী আমার সম্পত্তি নিয়ে এক্সে অভিযোগ করেছেন তাঁকে বলব তিনি সেই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ করুন। না-হলে আমিও পালটা আদালতের দ্বারস্থ হব।
আরও পড়ুন: