কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল করল বামেরা ৷ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের লাগামহীন অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখাল বাম ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন ৷ মৌলালি থেকে মিছিল বেরিয়ে তা পৌঁছল এসএন ব্যানার্জি পর্যন্ত ৷ এ দিন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও মিছিলে নেতৃত্ব দেন ময়ূখ বিশ্বাস, দেবাঞ্জন দে-সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব । পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল ৷
বামেদের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে তাতে সরকারি মদত রয়েছে ৷ আর তাতে সাহায্য করছে বিজেপি ৷ সন্দেশখালির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বাম নেতৃত্ব আজ বলেন, "সন্দেশখালির মহিলা, শিশুদের উপর তৃণমূল নেতারা দিনের পর দিন ভয়ংকর ভাবে অত্যাচার করেছে । এখন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সন্দেশখালিতে কারওকে ঢুকতে দিচ্ছে না । বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো করে রেখেছে । সত্যকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারা । কোথায় শেখ শাহজাহান ? এরা হল মাফিয়া রাজের লেজ, মাথা বসে আছে কালীঘাটে । মাফিয়ারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরবে আর মানুষের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদারের মতো লোকেদের জেলে ঢোকাবে । এমনটা চলতে পারে না । সন্দেশখলিতে মা-বোনেরা যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তাঁকে সেলাম জানিয়েই আজকের এই মিছিল ।"
এ দিনের মিছিলে সন্দেশখালির ঘটনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দিশাহীনতার অভিযোগে সরব হন বামেরা ৷ তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্যের বাজেট মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত খাতে বরাদ্দ কমিয়েছে । এর বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয় এই মিছিল থেকে ৷
বামেদের মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোড পর্যন্ত গিয়ে বেশ কিছুটা সময় সেখানেই রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা । রাস্তার মাঝেই পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল । বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলায় বিকেলের ব্যস্ত সময়ে থমকে যায় যান চলাচল । উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন জানান । সেই নিয়েই বচসা তৈরি হয় দুই পক্ষের মধ্যে । এর পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন ৷
আরও পড়ুন: