কলকাতা, 16 জুন: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে 2010 সালের পর সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে । উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর কার্যত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা । নির্ধারিত ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাও বাতিল হয়ে গিয়েছে । কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে । বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানাল এসএফআই ।
একটি প্রেস বিবৃতিতে এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্যী এবং সম্পাদক দেবাঞ্জন দে যৌথভাবে জানিয়েছেন, এই জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিকল্প বন্দোবস্তের উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্য সরকারকে । কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করতে হবে দ্রুত । সেইসঙ্গে অবিলম্বে ওবিসি সংরক্ষণের বৈধ তালিকা চূড়ান্ত করে রাজ্যের সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে ।
বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে দেবাঞ্জন দে বলেন, "রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বামফ্রন্ট সরকার 2010 সাল পর্যন্ত ওবিসি'র যে তালিকা প্রস্তুত করেছে, তা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে ৷ কিন্তু তৃণমূল সরকার স্বজনপোষণের জন্য অবাধে শংসাপত্র বিলি করে সমগ্র ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে । ওবিসি সংরক্ষণে দুর্নীতির জেরে সংখ্যালঘু, মূলত মুসলমান সম্প্রদায়ের পিছিয়ে থাকা মানুষের 17 শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে খারিজ হয়ে গিয়েছে । ফলস্বরূপ একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ ।"
সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যে 2010 সালের পরে ওবিসি তালিকা বাতিল হওয়াতে আদালত কর্তৃক সমস্ত রকম সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বাতিল হয়ে গিয়েছে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাও । বিপুল বেকারত্বের সংকটের মধ্যে পুনরায় বিপদের সম্মুখীন রাজ্যের ছাত্র-যুবরা । শুধু তাই নয় ৷ এই ঘটনার জেরে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে রাজ্যের বহু ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ ।"